নাগরিক পরিষেবা নিয়ে পুরসভাগুলোর ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, ধমক নেতা, মন্ত্রী থেকে আমলাদের

রাজ্যের পুরসভাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বিস্ফোরক মেজাজে মুখ্যমন্ত্রী। ১৩ বছরের শাসন কালে দলের নেতা-মন্ত্রী-বিধায়কদের সমালোচনার এমন বিধ্বংসী মুডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে আগে দেখা যায়নি। নাগরিক পরিষেবা নিয়ে বাংলার শহুরে এলাকায় যে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়েছে তা উপলব্ধি করে সোমবার নবান্নর বৈঠকে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী তুলোধনা করলেন পুরসভাগুলিকে। মুখ্যমন্ত্রীর তোপের মুখে পড়েছেন আমলা ও পুলিস আধিকারিকদের একাংশও।

রাজ্যজুড়ে সমীক্ষা চালানোর পর কর্পোরেশন, মিউনিসিপ্যালিটির কাজকর্ম সংক্রান্ত যে রিপোর্ট এসেছে, তার কাগজ এবং ছবি তুলে ধরে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরসভার বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আবর্জনা সাফ হচ্ছে না। এবার কি আমায় ঝাঁটা হাতে রাস্তায় নামতে হবে!

টাকা নিয়ে রাস্তায় লোক বসানো এবং বেহাল পরিষেবা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণের মুখে পড়েছেন তৃণমূলের বহু তাবড় নেতা। রাজ্যের কর্পোরেশন, পুরসভাগুলির কাজের গতি খতিয়ে দেখতে সোমবার নবান্ন সভাঘরে ‌জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন মমতা। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, সরু সুতোর মতো পিলারের উপর বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে, যেখানে সেখানে জবরদখল চলছে, ফুটপাত দখল হচ্ছে। পরিষেবা নেই, শুধু টাকা খাওয়া! টাকা তোলার মাস্টার নয়, জনসেবক চাই! না হলে ছুড়ে ফেলে দেব। জমি, বালি, কয়লা মাফিয়াদের সঙ্গে জড়িত কাউকে রেয়াত করব না। তাঁর বার্তা, ভালো জামা-কাপড় পরব, গাড়ি চড়ব, ভালো রেস্তরাঁয় খাব, খান। কিন্তু নিজের কাজের যে জায়গা, পুরসভা, ওয়ার্ড, এলাকার যত্ন তো নেবেন! কাউকে পোষার জন্য এখানে আসিনি। আমার দায়বদ্ধতা শুধু মানুষের প্রতি।

Comments are closed.