পকসো আইনের ধারা অনুযায়ী, কোনও নির্যাতিতা তরুণীর নাম প্রকাশ্যে আনা যায় না। কিন্তু হাঁসখালির নির্যাতিতা তরুণীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তাই করলেন বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্য রেখা বর্মা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হাঁসখালি নিয়ে বিবৃতি দিতে গিয়ে নির্যাতিতার নাম বলে ফেললেন তিনি। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে। এই ঘটনার জেরে ওই বিজেপি নেত্রীকে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। যদিও এনিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি রেখা ভার্মা।তাঁর সঙ্গে থাকা বাকি সদস্যরাও এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
হাঁসখালি কাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য। তরুণীর ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছে সব মহল। ঘটনায় ইতমিধ্যেই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। এর মধ্যেই ১৫ এপ্রিল ঘটনাস্থলে যায় বিজেপির পাঁচ সদস্যের ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম’। ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন, ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র, তামিলনাড়ুর বিধায়ক ভানাথি শ্রীনিবাসন, তামিল অভিনেত্রী খুসবু সুন্দর। ওই প্রতিনিধি দল শুক্রবার হাঁসখালি গিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁর পাড়া প্রতিবেশীর সঙ্গেও কথা বলেন। তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নির্যাতিতার নাম বলে দেন রেখা।
উল্লেখ্য গত ৪ এপ্রিল অভিযুক্ত সোয়েল গয়ালির জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিল ওই কিশোরী।রাতে অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফেরে সে। যন্ত্রনায় ছটফট করতে করতে ভোর রাতে মৃত্যু ঘটে তরুণীর। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণ করেছে সোয়েল গয়ালি। পরিবারের অভিযোগ পাওয়ার মাত্র পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বর্তমানে এই ঘটনার তদন্তভার রয়েছে সিবিআইয়ের হাতে।
Comments are closed.