চিনা গুপ্তচর হান জানুইয়কে ১০ দিনের এসটিএফ হেফাজতের নির্দেশ দিল মালদা জেলা আদালত। বুধবার হানকে আদালতে তোলা হয়। তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে এসটিএফ। সেইমত ১০ দিনের এসটিএফ হেফাজতে থাকবে হান।
এদিনই তাকে কলকাতায় নিয়ে আসবে এসটিএফ। তার ল্যাপটপ ও আইফোন খোলার চেষ্টা করবেন এসটিএফ আধিকারিকরা। চিনের মান্দারিন ভাষায় ল্যাপটপ ও মোবাইলের পাসওয়ার্ড দেওয়া আছে বলেই তা এখনও খুলতে পারেনি পুলিশ। তার ল্যাপটপ ও ফোনটি খোলা গেলে আরও তথ্য মিলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ হেফাজতে থাকার সময় তার শরীরে মাইক্রোচিফ লুকিয়ে রাখা আছে বলে অনুমান করা হয়েছিল। সেইমত কলকাতায় নিয়ে এসে তার সিটি স্ক্যান করা হতে পারে বলেই সূত্রের খবর। এরমধ্যেই হানের কাছ থেকে কিছু ভারতীয় ভোটার কার্ড, আধার কার্ড পাওয়া গিয়েছে।
কয়েকদিন আগেই মালদা সীমান্তে বিএসএফের জালে ধরা পড়ে চিনা নাগরিক হান জানুই। জানা যায় সে চিনের গুপ্তচর। তাকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। তাঁর কথায় একাধিক অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ভারতে এর আগেও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকায় মামলা দায়ের হয় তার নামে। জানা যায় চিনে ১ হাজার ৩০০ সিম পাচার করেছিল সে। যেগুলো আর্থিক প্রতারণার কাজে ব্যবহার করা হত।
কেবলমাত্র আর্থিক প্রতারণা নাকি হানের ভারতে আসার পেছনে রয়েছে আরও বড় কোনও কারন? তা জানার চেষ্টা করবেন এসটিএফ আধিকারিকরা।
Comments are closed.