ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ভারতে নিষিদ্ধ হয়ে গেল চিনা অ্যাপ টিকটক। সেই সঙ্গে নিষিদ্ধ হয়েছে আরও ৫৮ টি মোবাইল অ্যাপ। কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, ভারতের সুরক্ষা, সংহতি, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং এ দেশের সাধারণ মানুষের তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত।
মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে চিন তথ্য সংগ্রহ করে বলে অভিযোগ নতুন নয়। প্রতিবারই চিনা অ্যাপ বয়কটেরও ডাক দিতে অভ্যস্ত বেশ কিছু সংগঠন। কিন্তু এতদিন হাজার অভিযোগ সত্ত্বেও সরকারিভাবে অ্যাপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি। ভারতের কোটি কোটি মানুষ মোবাইলে দিব্যি ব্যবহার করছিলেন চাইনিজ মোবাইল অ্যাপ।
টিকটক ছাড়াও নিষিদ্ধ হওয়া অ্যাপের তালিকায় আছে ইউসি ব্রাউজার, শেয়ার-ইট, উই-চ্যাট, ক্যামস্ক্যানার, বাইডু ট্রান্সলেট, ভিভা ভিডিও, এমআই ভিডিও কলার, নিউজ ডগ, জেন্ডার, ভাইরাস ক্লিনার প্রভৃতি। সূত্রের খবর, সরকারি বিজ্ঞপ্তির পর মোবাইল ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের এই অ্যাপগুলো ব্লক করার নির্দেশ দেওয়া হবে। এর পর উপভোক্তা নিজের ফোনে এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করতে গেলেই একটি বার্তা পাবেন। সেখানে লেখা থাকবে, সরকারি নির্দেশে এই অ্যাপ ব্যবহার বন্ধ রাখা হয়েছে।
অ্যাপ নিষিদ্ধ হলেও এখনও ভারতে চিনা স্মার্টফোন বিক্রিতে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি। ভারতে এক নম্বর স্মার্টফোন বিক্রেতা চাইনিজ সংস্থা Xiaomi এর গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট মনুকুমার জৈন জানিয়েছেন, বিক্রিতে কোনও প্রভাব পড়েনি। উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, গত ২৪ জুন তারা Note9ProMax মোবাইলটি অনলাইন লঞ্চ করেছিলেন। মাত্র ৫০ সেকেন্ডের মধ্যে তা বিকিয়ে যায়। একই অবস্থা Mi Notebook 14 ল্যাপটপের। এই ল্যাপটপও বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গে হটকেকের মতো বিক্রি হয়ে গিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে এক ধাক্কায় ৫৯ টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ভারত সরকার।
Comments are closed.