রাজ্যে সংক্রমণ হার যখন ছিল ৩০ এর উপর তখন ৮ দফায় ভোট করালেন। এখন সংক্রমণ হার ৩.৬১। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলে নিতে পেরেছি। এবার নির্বাচন কমিশন বাকি থাকা উপনির্বাচন হোক। ৭ দিনের মধ্যে ভোট করাতে পারে। বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
এরপরই সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধে মমতা বলেন, আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী যবে বলবেন তখন ওরা নির্বাচন করাবে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন করব, তাড়াতাড়ি উপনির্বাচন করান। করোনা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে তিনি বলেন, রাজ্যে এখন যা কোভিড পরিস্থিতি তাতে সাত দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করাতে পারে কমিশন। কেন যে ওরা দেরি করছে বুঝতে পারছি না। তারপরেই তৃণমূল নেত্রীর তীব্র কটাক্ষ, আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী বললে তবে কমিশন ভোট ঘোষণা করবে। যদি তাই হয় তাহলে আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলবো আপনি তাড়াতাড়ি অনুমতি দিন।
উল্লেখ্য ভবানীপুর, খড়দহ সহ রাজ্যের বেশ কিছু আসনে উপনির্বাচন রয়েছে। মমতা ব্যানার্জি নিজে ভবানীপুর থেকে প্রার্থী হচ্ছেন।
এদিন, উপনির্বাচনের পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টা আলাপন ব্যানার্জিকে নতুন করে কর্মিবর্গ মন্ত্রকের চিঠি পাঠানো নিয়েও কেন্দ্রকে তুলোধোনা করেছেন মমতা। তিনি বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বলে কেন্দ্র যা খুশি করছে। রাজীব গান্ধীর এর চেয়ে বেশি মেজরিটি ছিল। মমতা বলেন, কই তাঁকে তো এরকম করতে দেখিনি। গায়ের জোরে সব বদলে দিতে দেখিনি।
মমতা ব্যানার্জির দাবি, আলাপন ব্যানার্জির মত একজন সৎ, কর্তব্যপরায়ণ আমলাকে কেন্দ্র যেভাবে হেনস্থা করছে তা দেশের সমস্ত আইএস আইপিএস অফিসার দেখছেন। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, দেশের সব আইপিএস-আইএএস অফিসার আলাপনের পাশে আছেন। তাঁর তাৎপর্যপূর্ন মন্তব্য, দেশের বেশিরভাগ রাজ্যে বিজেপি বিরোধী সরকার রয়েছে। কেন্দ্রের এই গা জোয়ারি বেশি দিন চলবে না। ২০২৪ সালে অন্য কেউ ক্ষমতায় এসে এই সব বদলে দিতে পারে।
পাশাপাশি এদিন তিনি জানান, আলাপন ব্যানার্জি নিজে তাঁর আইনি লড়াই লড়বেন। তাঁর সঙ্গে রাজ্য সরকার রয়েছে। আলাপন ব্যানার্জি যেভাবে চাইবেন রাজ্য সেভাবে তাঁকে সাহায্য করবে, জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
Comments are closed.