বকুনু খেয়ে অবশেষে সভামঞ্চে এসে পৌঁছল শীতপোশাক। সভাস্থল থেকেই ১ হাজার স্থানীয় বাসিন্দার হাতে শীতবস্ত্র তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে, বুধবার বেলা ১২ টার মধ্যে বাকি শীতবস্ত্র স্থানীয়দের হাত তুলে দেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।
মঙ্গলবার হিঙ্গলগঞ্জে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে এক নজিরবিহীন ঘটনা দেখল রাজ্য রাজনীতি। বনবিবির থানে পুজো দেওয়ার পর জনসভায় সবে বক্তৃতা শুরু করেছিলেন। গ্রামবাসীদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দিতে চান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, পুজো উপলক্ষ্যে তিন দিন আগে থেকেই প্রায় ১৫ হাজার শীতবস্ত্র কিনে রেখেছিলেন তিনি। ইচ্ছে ছিল এই জনসভা থেকে তা বিলি করবেন। কিন্তু মঞ্চে শীতবস্ত্র না পেয়ে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূল নেত্রী। জেলা শাসকের দিকে ঘুরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “১৫ হাজার শীতবস্ত্র কোথায় রেখেছেন? কেন বিডিও অফিসে থাকবে? এক্ষুনি নিয়ে আসতে বলুন।” তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী সাফ বলেন, যতক্ষণ না শীতবস্ত্র আসছে, তিনি মঞ্চেই বসে থাকবেন, বক্তৃতা করবেন না।
মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়ে ততক্ষণে বিডিও অফিসের দিকে দৌড় লাগিয়েছেন অফিসাররা। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর অবশেষে মঞ্চে এসে পৌঁছায় শীত পোশাক। ১ হাজার জনের হাতে তা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে বস্ত্র প্রদানের পরও মমতা ব্যানার্জিকে যথেষ্টই ক্ষুব্ধ দেখাচ্ছিল। বক্তৃতায়ও সেই ক্ষোভ ঝরে পড়ে। বলেন, ” খুবই সামান্য জিনিস। কিন্তু তাও মানুষগুলো কেন পাবে না”। তাঁর কথায়, “মানুষের কাজ কেউ যদি না করে খুব রাগ হয়”। সেই সঙ্গে প্রশাসনিক কর্তাদের মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, “যদি বিডিও, ডিএম, আইসিরা কাজ না করে, তাহলে কিন্তু কড়া ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব”।
Comments are closed.