নারকীয় ঘটনার পর বগটুইয়ে গিয়ে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বজনহারাদের পাশে দাঁড়াতে প্রত্যেক মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। প্রতিশ্রুতির ১০ দিনের মধ্যেই মৃতের পরিবারের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিলেন। সোমবার নবান্ন থেকে একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে মিহিলাল শেখ, হাসিনার খাতুন সহ মোট ১০ জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন তিনি। সেই সঙ্গে জেলা শাসককে নির্দেশ দেন, ওঁদের যাতে কাজে যোগ দিতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেদিকটা দেখতে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী ফের একবার বলেন, চাকরি বা আর্থিক সাহায্য দিয়ে কখনই ক্ষতিপূরণ করা যায়না। কিন্তু বেঁচে থাকার তাগিদে এগিয়ে যেতে হয়। প্রিয়জনদের হারিয়ে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা যাতে বাকি জীবনটা সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকতে পারেন সেজন্যই এই পদক্ষেপ। ভার্চুয়াল মিটিং-এ জেলা শাসকের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগুনলাগার কারণে অনেকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুড়ে গিয়েছে। সে সব যাতে তাঁরা দ্রুত ফিরে পান, সেদিকটা জেলাশাসককে দেখতে হবে।
উল্লেখ্য ঘটনার পরে বগটুই পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি স্বজনহারাদের জন্য সাহায্য ঘোষণা করেছিলেন। বাড়ি মেরামতির জন্য ২ লক্ষ টাকা, এবং মৃতের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে নিজের মুখ্যমন্ত্রী কোটা থেকে পরিবার পিছু একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই মতোই এদিন কথা রাখলেন মমতা ব্যানার্জি।
Comments are closed.