সুন্দরবন সফরে মমতা; স্থানীয় বাসিন্দার বাড়িতে খেলেন ভাত-ট্যংরা মাছের ঝোল, শুনলেন গ্রামবাসীদের সমস্যার কথা
মঙ্গলবার শীতবস্ত্র দিতে না পেরে বেজায় চটে ছিলেন, হিঙ্গলগঞ্জের প্রশাসনকে তুলোধোনা করেছিলেন। বক্তৃতা থামিয়ে মঞ্চেই বসে পড়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবারও এক্কেবারে ভিন্ন মেজাজে পাওয়া গেল তাঁকে। এদিন টাকি থেকে জলপথে মিনি সুন্দরবন পরিদর্শন যান মুখ্যমন্ত্রী। এক স্থানীয় গ্রামবাসীর বাড়িতেই দুপুরের খাওয়া দাওয়া করেন। মেনু’তে ছিল ভাত-ট্যাংরা মাছের ঝোল। সেই সঙ্গে স্থানীয়দের কাছ থেকে অভাব-অভিযোগ শোনেন।
নদীপথে পর্যটনের সম্ভবনা যাচাই করতে এদিন টাকি থেকে জলপথেই রওনা দেন মমতা ব্যানার্জি। এর পর বসিরহাট মহকুমার একাধিক এলাকা ঘুরে দেখেন। বেশ কয়েকটি গ্রামে যান। চক-খাঁ নামে এক গ্রামের বাসিন্দারা মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে তাঁদের এলাকার পানীয় জলের সমস্যার কথা জানান। মুখ্যমন্ত্রী গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ২০২৪-এর মধ্যে প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে যাবে। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, প্রশাসনকে নিৰ্দেশ দিয়ে যাচ্ছেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে গ্রামে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হবে।
এদিন খাঁ-পুকুর নামে স্থানীয় এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। খুদে পড়ুয়াদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষন কথা বলেন। বড় হয় পড়ুয়ারা কী হতে চায়, জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। মিড-ডে মিলের ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখেন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখন সড়ক পথে টাকি ফিরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে প্রশাসনিক কর্তাদের পাশাপাশি রয়েছেন অভিষেক ব্যানার্জির মা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী টাকিতেই রাত্রিবাস করবেন বলে জানা গিয়েছে।
Comments are closed.