কলেজে পড়তে এসে আদিবাসী ছেলেমেয়েদের অশিক্ষার কথা চিন্তা করে নিজেই গ্রামে স্কুল খুলে ফেললেন আইনের ছাত্রী

পড়তে এসেছিলেন কলেজে আর নিজেই হয়ে গেলেন শিক্ষিকা। আদিবাসী অধিবাসীদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য নিজেই খুলে বসলেন স্কুল। একটা বড় উঠোন আর মাঝে বসে পড়ুয়ারা। চলছে পড়াশোনা। এই দৃশ্য বীরভূমের ইলামবাজারের একটি গ্রামের। পড়ুয়াদের কারোর বাবা দিন মজুর আবার কেউ অন্যের জমিতে চাষ করে অর্থ উপার্জন করেন। খাতা, বই কিনে দিয়ে গ্রামের স্কুলে পাঠিয়ে দিতেন বাবা মা। কিন্তু করোনার পর তাও বন্ধ। তাই বাচ্চাদের জন্য এগিয়ে আসেন পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি এলাকার বাসিন্দা প্রীতিকণা জানা।

২০২০ সালে আইন নিয়ে পড়াশোনা করতে আসেন বীরভূমের ইলামবাজারের গোপালনগরের পাশে একটি বেসরকারি কলেজে। আর এর পাশেই একটি আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের শিশুরা চোখে পড়ে তাঁর। কলেজে যাওয়ার সময় তিনি দেখেন ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা না করে খেলাধূলা করছে সারাদিন। তখনই তিনি মনস্থির করেন, তাদের পড়াশোনার প্ৰতি আগ্রহ বাড়িয়ে তুলতে হবে। এরমধ্যে শুরু হয় কোভিডের লকডাউন। আর অনলাইনে পড়াশোনা করার মতন অবস্থা নেই ওদের। কারণ ওদের বাড়িতে নেই কোনও মোবাইল বা ল্যাপটপ। তাই নিজেই ওদের পড়াশোনা করানোর ব্যবস্থা করেন। একটি বাড়ির উঠোনের মধ্যে গড়ে তোলেন স্কুল। প্রথমে সেখানে ১০ থেকে ১২ জন পড়ুয়া এলেও বর্তমানে সেই সংখ্যা ৪০ থেকে ৫০ জন। বিনামূল্যেই তাদের পড়ান তিনি। গ্রামবাসীরাও খুশি তাঁর এই উদ্যোগে। আর পড়ুয়ারাও দিদিমনিকে পেয়ে খুশি।

Comments are closed.