খাতায়-কলমে পুজোর বাকি মাত্র আর তিনদিন। ষষ্ঠী বৃহস্পতিবার হলেও সপ্তমী থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাস পেয়ে আগাম প্রতিমা দর্শন সেরে রাখছেন দর্শনার্থীরা। তাই এখন থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে ভিড় জমতে শুরু করেছে। যদিও তাতে তাল কেটেছে সোমবার দুপুরে হাইকোর্টের রায়ে। এই অবস্থায় একবার দেখে নেওয়া যাক, রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি কোন জেলায় কেমন!
রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইট ‘এগিয়ে বাংলা’য় ১৮ অক্টোবর বিকেল ৫ টা পর্যন্ত যে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলায় ব্রডবেসড কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৩ হাজার ২১০ টি। জেলাগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি কনটেইনমেন্ট জোন নদিয়ায়, ৬২৬ টি। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় একটিও কন্টেইনমেন্ট জোন নেই। এদিকে কলকাতায় এই সংখ্যা মাত্র ১।
রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কলকাতার ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড এলাকা এখন ব্রডবেসড কনটেইনমেন্ট জোন।
তবে পুজোর মুখে রাজ্য সরকারের চিন্তা বাড়িয়েছে নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, পুরুলিয়া, উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও কোচবিহার জেলা। সবচেয়ে বেশি কনটেইনমেন্ট জোন নদিয়ায়, ৬২৬ টি। দ্বিতীয় স্থানে পূর্ব বর্ধমান, ওই জেলায় ৫৬৩ টি কনটেইনমেন্ট জোন আছে। এরপর পুরুলিয়া, উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও কোচবিহারে যথাক্রমে ৪৩৮ টি, ৩৮৬ টি, ৩৫১ টি এবং ৩৩৫ টি কনটেইনমেন্ট জোন রয়েছে।
হাওড়ায় ৫৯, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩৩, উত্তর ২৪ পরগনায় ৮, হুগলিতে ১৮, পূর্ব মেদিনীপুরে ২৭, মালদায় ৪, জলপাইগুড়িতে ১৪, দার্জিলিঙে ৭টি কনটেইনমেন্ট জোন বর্তমান। এছাড়া কালিম্পঙে রয়েছে ৬০ টি, দক্ষিণ দিনাজপুরে ১১, মুর্শিদাবাদে ৪৭, বাঁকুড়ায় ৪৬ বীরভূমে ১২৭ এবং আলিপুরদুয়ারে ৪৮ টি কনটেইনমেন্ট জোন আছে। কলকাতার মতোই একটিমাত্র কনটেইনমেন্ট জোন আছে ঝাড়্গ্রাম জেলায়।
উৎসবের মুখে ভিড় বাড়লে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কোভিড সংক্রান্ত কেন্দ্রের বিশেষ কমিটি সাবধান করেছে, উৎসবের মরসুমেও যেন কঠোরভাবে বিধিনিষেধ মেনে চলা হয়। এই প্রেক্ষিতে নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, পুরুলিয়া, উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও কোচবিহার জেলার দিকে বিশেষ নজর রাখছে রাজ্য। পুজোর পরে এই জেলাগুলিতে সংক্রমণ মাত্রা কী হবে তাও ভাবাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরকে।
Comments are closed.