কোনও ঋতুমতী মহিলা যদি স্বামীর জন্য রান্না করে, পরের জন্মে সে কুকুর হয়ে জন্মায়। আর যে সেই রান্না খায় তারও পরের জন্মে বলদ হওয়া অবধারিত। এমনই দাবি গুজরাতের শ্রীস্বামী নারায়ণ ভুজ মন্দিরের স্বামীজি ক্রুষ্ণাস্বরূপ দাসজির। তাঁর শিষ্যরাই গুজরাতের ভুজ এলাকার সহজানন্দ গার্লস ইনস্টিটিউটটি চালান। এই কলেজেই ৬৮ জন ছাত্রী ঋতুমতী নন, এই প্রমাণ পেতে তাঁদের অন্তর্বাস খুলে পরীক্ষা করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, রেক্টর-সহ চারজন।
গত সপ্তাহে ক্রান্তিগুরু স্বামীজি কৃষ্ণ ভার্মা কছ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ওই কলেজে ছাত্রীদের অন্তর্বাস খুলে ঋতুস্রাব হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করার খবরে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে রাত্রিসভায় করা স্বামী ক্রুষ্ণাস্বরূপ দাসজির ভাষণের একটি ভিডিয়ো। তাতে স্বামীজিকে গুজরাতি ভাষায় বলতে শোনা যায়, ‘মাসিক অবস্থায় কোনও স্ত্রীর রান্না করা খাবার যদি স্বামী খায় সে পরের জন্মে বলদ হয়ে জন্মাবে। আর সেই স্ত্রী হবে কুকুরি।’ তাঁকে এও বলতে শোনা যায়, মানা না মানা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার, কিন্তু এটাই শাস্ত্রে আছে। তাঁর সাবধানবাণী, সভায় উপস্থিত অনেক মহিলাই হয়ত ভয় পেয়ে কেঁদে ফেলছেন তাঁরা কুকরি হয়ে জন্মাবেন বলে। কিন্তু হ্যাঁ, এটাই তাঁদের হতে হবে। পাশাপাশি ‘ওই দিনগুলি’তে স্বামীদের নিজে রান্না করে খাওয়ার পরামর্শ দিতে শোনা যায় স্বামী ক্রুষ্ণাস্বরূপকে। তাঁর বার্তা, এজন্য বিয়ের আগে পুরুষদের রান্না শিখে নেওয়া দরকার। সূত্রের খবর, মাস কয়েক আগে একটি সভায় এই মন্তব্য করেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর শিষ্যদের দ্বারা চালিত কলেজে ছাত্রীদের প্রতি জঘন্য ব্যবহারের অভিযোগ ওঠার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিয়ো।
এই ভিডিয়ো প্রসঙ্গে গুজরাতের অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী এবং ভুজের শ্রীস্বামী নারায়ণ মন্দিরের ট্রাস্টি যাদবজি গোরাসিয়া থেকে মন্দির সংগঠনের সদস্য ও পুরোহিতদের কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Comments are closed.