মাধ্যমিক পাশ না স্নাতক? কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। আর শপথ গ্রহণের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তাঁর শিক্ষাগত নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিলেন কোচবিহারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়।
লোকসভার সাইটে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার একরকম তথ্য দিয়েছেন, আবার ভোটে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে জমা দেওয়া হলফনামায় নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য অন্যরকম দিয়েছেন। এমনই গুরুতর অভিযোগ নিশীথের বিরুদ্ধে।
প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় একটি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, কোচবিহারের সাংসদ মন্ত্রী হচ্ছেন। বেশ ভালো কথা। কিন্তু লোকসভার সাইট খুলতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ। ওয়েবসাইটে সাংসদ মহাশয়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখাচ্ছে Bachelor of Computer Application. কিন্তু ভোটে দাঁড়ানোর সময় হলফনামায় লেখা সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক। তৃণমূল নেতার কটাক্ষ, আমি না বিষয়টি বুঝতে পারলাম না।
মোদী সরকারের মন্ত্রিসভায় বাংলা থেকে চারজন সাংসদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে নিশীথ প্রামাণিককে দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র, যুব কল্যাণ বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। অর্থাৎ নিশীথ প্রামাণিক কাজ করবেন অমিত শাহের ডেপুটি হিসেবে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী করেছিলেন নিশীথ। খুব সামান্য ভোটের ব্যবধানে তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহকে হারান। তবে ভোটে জিতলেও বিধায়ক পদ ছেড়ে সাংসদ থাকারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কোচবিহারে সামগ্রিকভাবে বিজেপির ফল ভাল। তারই পুরস্কার পেলেন নিশীথ বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু দায়িত্ব নিতেই নয়া বিতর্কের সূত্রপাত। যদিও কোচবিহারের বিজেপি নেতারা পার্থপ্রতিমের অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে চাননি।
Comments are closed.