কোভিড পর্বে দেশ দেখেছে করোনা যোদ্ধাদের পাড়ায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। হাসপাতাল থেকে ফেরা ডাক্তার, নার্সদের বাড়ি ছাড়া করার নোটিস দেওয়া হচ্ছে। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ফেরা করোনা সংক্রমিতকে একঘরে করে রাখা হচ্ছে, ইত্যাদি ইত্যাদি। এবার সামনে এল এ যাবত সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
গরমের হাত থেকে বাঁচতে রোগীর ভেন্টিলেটরের প্লাগ খুলে কুলার চালানো হল এবং রোগী মারা গেলেন। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের কোটাতে।
অন্যান্য অনেক কিছুর পাশাপাশি রাজস্থানের কোটা বিখ্যাত তার প্রবল গরমের জন্য। গত ১৫ জুন কোটার মহারাও ভিমসিং হাসপাতাল বা এমবিএস হাসপাতালে ভর্তি সংক্রমিত পরিজনের সঙ্গে দেখা করতে যান পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা সঙ্গে করে একটি কুলারও নিয়ে গিয়েছিলেন। রোগীর ঘরে ঢুকেই ভেন্টিলেটরের প্লাগ খুলে তাঁরা কুলার চালিয়ে দেন। বিদ্যুৎ বন্ধ হলেও ভেন্টিলেটর ব্যাটারির সাহায্যে কিছুক্ষণ চলে, তারপর বন্ধ হয়ে যায়। রোগীও কিছুক্ষণ স্বাভাবিক থাকার পর আচমকা অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরিবারের লোকেরা কুলারের হাওয়া খেতে খেতে তা দেখতে পান, ডাক্তারকে খবর দেন। ডাক্তার গিয়ে দেখেন রোগীর ভেন্টিলেটরের সুইচ অফ। তার বদলে সেই প্লাগে চলছে কুলার!
ডাক্তাররা ক্রিটিকাল অবস্থায় পৌঁছে যাওয়া রোগীকে বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তাঁর মৃত্যু হয়। যে রোগীর সুবিধার জন্য কুলার আনা হল, তাঁর এমন আচমকা মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি বাড়ির লোকেরা। ডাক্তারদের উপর চড়াও হন তাঁরা। চলে চড় থাপ্পর, গালিগালাজ।
নিগৃহীত ডাক্তাররা কাজ বন্ধ করে দেন। নিরাপত্তার দাবিতে হাসপাতালে চলে বিক্ষোভ। সেই সময় হাসপাতালে কাজ করা ডাক্তার বরুণ নিগ্রহের কথা জানিয়ে কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটিকে শুক্রবারের মধ্যে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
Comments are closed.