গুরুগ্রামের এক পেটিএম কর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় দু’দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল সেখানকার ই-ওয়ালেট সংস্থার অফিস। সব মিলিয়ে ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৯। গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারতে করোনাভাইরাসের সংখ্যা ১৫ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯-এ। বুধবার ১৫ জন ইতালীয় পর্যটকের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। এক ভারতীয় গাড়ি চালক যিনি ইতালীয় পর্যটকদের সঙ্গে ছিলেন তিনিও এই মারণ ভাইরাসের শিকার হয়েছেন।
পেটিএম সংস্থা একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তাদের যে কর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, কিছুদিন আগে তিনি ইতালি সফর থেকে দেশে ফিরেছেন। আগামী দু’দিন পিটিএম তাদের কর্মদের বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, চিন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের বড় শিকার ইউরোপ মহাদেশের দেশগুলি। গত মাসে ইতালি থেকে রাজস্থানে বেড়াতে আসা ২৩ জন পর্যটকের মধ্যে ১৬ জন করোনায় আক্রান্ত হন। বুধবার জয়পুরে থাকা এক ইতালীয় দম্পতির শরীরেও এই ভাইরাস মিলেছে।
কেন্দ্র থেকে বুধবার ঘোষণা করা হয়েছে, বিদেশ থেকে আসা সমস্ত উড়ানের জন্যই ভারতীয় বিমানবন্দরগুলিতে স্ক্রিনিংয়ের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। প্রায় ৫ লক্ষ মানুষকে পরীক্ষা করা হয়েছে বিমানবন্দরে। করোনার হানা রুখতে ইতালি, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইতালি থেকে আসা পর্যটকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি, ভারতীয় নাগরিকরা যেন খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া বিদেশ যাত্রা স্থগিত রাখেন, সে বার্তাও দিয়েছে কেন্দ্র স্বাস্থ্য মন্ত্রক। স্কুল, কলেজের জন্যও একটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, যেখানে বড় রকমের জমায়েত করতে নিষেধ করা হয়েছে। তাছাড়া ২৮ দিনের মধ্যে কোনও পড়ুয়া, শিক্ষক যদি করোনা আক্রান্ত দেশ সফর করে এসে থাকেন তাঁদের ১৪ দিন বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর তাঁদের কেউ যদি অসুস্থ হন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যেন কাজে যোগ না দেন।
২৯ করোনাভাইরাস আক্রান্তের মধ্যে রয়েছেন দিল্লির এক ৪৫ বছরের ভদ্রলোক ও তাঁর পরিবারের ৬ জন সদস্য। তাঁরা কিছুদিন আগে ইতালি থেকে ফিরেছিলেন। বেঙ্গালুরুর এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী হায়দরাবাদে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর উঠে এসেছে।
ডিসেম্বর মাস থেকে চিনে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। বিশ্বব্যাপী প্রায় ৯০ হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।
Comments are closed.