করোনা রোগীদের জন্য নয়া উদ্যোগ নিল মমতা ব্যানার্জির সরকার। এবার বাড়িতে বসেই অনলাইনে জানা যাবে রোগীর শারীরিক অবস্থা। করোনা রোগীর পরিবারের সঙ্গে হাসপাতালকে এক সূত্রে বাঁধল নবান্ন। চালু হয়ে গেল ‘কোভিড পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ বা
সিপিএমএস। কয়েক দিন আগেই নবান্ন থেকে এই পরিষেবা চালুর কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনার চিকিৎসায় স্বচ্ছতা আনতেই রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ।
হাসপাতালে কোভিড রোগী ভর্তি হওয়ার পর তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার শেষ ছিল না পরিবারের। কারণ একদিকে সংক্রমণের ভয়ে হাসপাতালে গিয়ে করোনা রোগীর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ থাকে না পরিবারের, তেমনই সরকারি হাসপাতালে রোগীর মোবাইল ফোন ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই সমস্যার মোকাবিলায় সিপিএমএস চালু করেছে নবান্ন। আদতে এটি একটি সফটওয়্যার। আগে এর ব্যবহার কেবল প্রশাসনিক স্তরে সীমাবদ্ধ ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেটি এবার সাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়ে গেল। মুখ্যসচিব রাজীবা সিনহা জানিয়েছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে মেডিক্যাল কলেজ, সিএনসিআইয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস (রাজারহাট) এবং বাঙ্গুর কোভিড হাসপাতালের সঙ্গে এই সফটওয়্যার যুক্ত করা হচ্ছে। কিছদিনের মধ্যে সব হাসপাতালকেই সিপিএমএস পরিষেবায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানান মুখ্যসচিব।
কীভাবে কাজ করবে সিপিএমএস? মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, প্রথমে স্বাস্থ্য দপ্তরের ওয়েবসাইট, www.wbhealth.gov.in এ যেতে হবে। সেখানে রোগীর সম্পর্কে জানার জন্য একটি পেজ থাকবে। সেখানে করোনা রোগীর নাম লিখলেই হাসপাতালে নথিভুক্ত মোবাইল নম্বরে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ওটিপি চলে যাবে। সেই ওটিপি টাইপ করলে রোগীর বর্তমান স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সব তথ্য চলে যাবে ওই মোবাইলে। রোগীর শারীরিক অবস্থা কেমন রয়েছে, তিনি ভেন্টিলেশনে নাকি জেনারেল ওয়ার্ডে, অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে কি না, শরীরের তাপমাত্রা কত, ব্লাড প্রেশার ঠিকঠাক আছে কি না, সুগার লেভেল কত, সব কিছুই জানতে পারবেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। যখন খুশি, যেখানে খুশি এই পরিষেবা মিলবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।
প্রসঙ্গত, করোনা মোকাবিলায় মমতার সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করে ইউনাইটেড নেশন ওয়ার্ল্ড পিস অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি ‘সিম্বল অফ গ্র্যাটিটিউড’ পাঠিয়েছে। বিশ্বব্যাপী অতিমারির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যেভাবে মানবদরদী ভাবমূর্তি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে তার তারিফ করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ।
Comments are closed.