ফের ভাঙন সিপিএমের ঘরে। এবার মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির সিপিএম বিধায়ক আবদুর রেজ্জাক যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এর ফলে মুর্শিদাবাদের মতো কংগ্রেস-সিপিএমের শক্ত ঘাঁটিতে মোট ২২ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা হল ১২।
গত ১০ ই ডিসেম্বর রাজ্যের মন্ত্রী এবং তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘীতে এক অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন, ১০ দিনের মধ্যে সিপিএমের বড় নেতা দল ছাড়বেন, যোগ দেবেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তার এক সপ্তাহের মধ্যে বৃহস্পতিবার জলঙ্গির সিপিএম বিধায়ক আবদুর রেজ্জাক নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন। আগামী ১৯ শে জানুয়ারির ব্রিগেড সমাবেশেও উপস্থিত থাকবেন তিনি।
২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম এবং কংগ্রেস জোট করে মুর্শিদাবাদে ২২ টির মধ্যে ১৮ টি আসনে জিতেছিল। কংগ্রেস ১৪ টি এবং বামেরা জিতেছিল ৪ টি আসনে। তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ৪ টি আসন। ইতিমধ্যেই এই জেলার ৬ কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। গত ডিসেম্বর মাসেই নবগ্রামের সিপিএম বিধায়ক কানাই মন্ডল তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। এবার জলঙ্গির সিপিএম বিধায়কও যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ফলে এই মুহূর্তে মুর্শিদাবাদে শুধুমাত্র ডোমকল এবং ভগবানগোলা আসন বামেদের হাতে রইল।
মুর্শিদাবাদের ৩ টি লোকসভা আসন, বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ এবং জঙ্গিপুর এখন কংগ্রেস এবং সিপিএমের দখলে। কিন্তু ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুর্শিদাবাদে জেলা পরিষদ দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার মধ্যে এই জেলার একের পর এক বিরোধী বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় আসন্ন লোকসভা ভোটে এই ৩ টি আসনে রাজনৈতিক ভারসাম্য অনেকটাই পালটে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
Comments are closed.