এনআরসি নিয়ে মোদী সরকারের একগুঁয়েমি বরদাস্ত করা যায় না, এনআরসি ও এনপিআর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি সিপিএমের
শীঘ্রই কেন্দ্রকে এনআরসি ও এনপিআর প্রক্রিয়া প্রত্যাহার করতে হবে বলে শনিবার এক বিবৃতিতে দাবি জানাল সিপিএম পলিটব্যুরো (CPIM Statement)। তাদের দাবি, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাইরে দশটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করেছেন। স্পষ্টতই তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, নিজেদের রাজ্যে এনআরসি লাগু হতে দেবেন না। আরও রাজ্য এনআরসি-র বিরোধিতায় এগিয়ে আসবে বলে দাবি সিপিএমের। তারা বলছে, এই অবস্থায় এনআরসি নিয়ে মোদী সরকারের একগুঁয়েমি একেবারেই মানা যায় না।
পলিটব্যুরোর বিবৃতিতে (CPIM Statement) বলে হয়েছে, যাঁরা ‘অসাংবিধানিক’ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছেন, তাঁদের সবাইকে পূর্ণ সমর্থন করছে সিপিএম। তাদের দাবি, কেন্দ্রের নয়া নাগরিকত্ব আইনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত নাগরিকপঞ্জি ও ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার (এনপিআর)। তাই আপাতত জনগণনা মুলতবি রাখতে হবে। ওই বিবৃতিতে সিপিএম এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশি আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছে। পাশাপাশি, তাদের আবেদন, কোনও প্ররোচনায় পা দিয়ে এই গণআন্দোলনকে যেন হিংসার রূপ না দেন আন্দোলনকারীরা। এই বিবৃতিটিই ট্যুইট করে বিজেপি সরকারের কড়া সমালোচনা করেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। শনিবার অন্য একটি ট্যুইটে ইয়েচুরি লেখেন, বহু বছর ধরে ভারত তার গণতান্ত্রিক পরিচয়, প্রতিবাদের স্বাধীনতা, বহুত্ববাদের জন্য বিশ্বজুড়ে সম্মান পেয়ে এসেছে। একেই ধ্বংস করছে বর্তমানের কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁর দাবি, চারদিকেই তার প্রমাণ ছড়িয়ে রয়েছে। পাশাপাশি, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সমস্ত বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলগুলির উদ্দেশে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। যাতে বলা হয়েছে, হিংসায় মদত দেয় এমন কোনও ছবি বা ঘটনা কোনওভাবেই যেন সম্প্রচারিত না হয়। দেশের আইন-শৃঙ্খলায় প্রভাব ফেলে বা কোনও দেশবিরোধী আচরণ যেন টিভি চ্যানেলগুলিতে দেখানো না হয়।
Comments are closed.