প্রয়াত হলেন ভাঙড়ের আন্দোলনের নেত্রী শর্মিষ্ঠা চৌধুরী। করোনা পরবর্তী শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন সিপিআই এমএল (রেড স্টার) নেত্রী। রবিবার এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৩৯ বছরের শর্মিষ্ঠার।
তাঁর মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি, বলে মনে করছেন সহযোদ্ধারা। গণ আন্দোলনের পক্ষে এটা বিরাট ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।
শর্মিষ্ঠার স্বামী ভাঙড়ের কৃষক আন্দোলনের অন্যতম প্ৰধান নেতা অলীক চক্রবর্তী লিখেছেন, আমার জীবনসঙ্গী কমরেড শর্মিষ্ঠার মৃত্যুতে বিপ্লবী আন্দোলনের বড় ক্ষতি। শ্রমিক শ্রেণীর আন্দোলনে বড় ক্ষতি, নারী আন্দোলনের অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি লিখেছেন, আমি আমাদের দু’জনের যে লক্ষ্য ছিল, তা পূরণ করার চেষ্টা করে যাব আজীবন। স্ত্রীর প্রতি তাঁর লেখনী ফেসবুকে দেওয়া হয়েছে।
১ মে করোনা সংক্রমিত হন শর্মিষ্ঠা চৌধুরী। ২১ দিন পর সংক্রমণকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু শরীরে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দেয়। ক্রমেই খারাপ হতে থাকে প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনির। ৪ দিন আগে তিনি ভর্তি হন এসএসকেএমে। রবিবার তাঁর মৃত্যু হয়।
অলীক চক্রবর্তীর সঙ্গে একই সারিতে দাঁড়িয়ে ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন শর্মিষ্ঠা। গ্রেফতার হয়েছেন একাধিকবার। কিন্তু দাবি আদায়ের পথ থেকে সরেননি কোনোদিন।
দর্শনের কৃতী পড়ুয়া শর্মিষ্ঠা প্রেসিডেন্সি থেকে পাস করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্ত্বর করেন। তারপর যোগ দেন দ্য টেলিগ্রাফ দৈনিকে। একদিন হঠাৎ চাকরি ছেড়ে মানুষের দাবি দাওয়া নিয়ে পথে নামেন শর্মিষ্ঠা। সিপিআই এমএল রেড স্টারের পলিটব্যুরো সদস্য হয়েছিলেন শর্মিষ্ঠা চৌধুরী। ঝা চকচকে জীবনকে হেলায় সরিয়ে তিনি যেভাবে ভূমিহীনের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করেছেন তার তুলনা হয় না, বলছেন তাঁর সতীর্থরা।
Comments are closed.