করোনাকালে CBI এর গ্রেফতারি, রাজ্যপালের ‘দলীয় ভূমিকা’ পালনের প্রতিবাদ CPIML লিবারেশনের
রাজ্যের একাধিক জায়গায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে করোনাকালে গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাস্তায় পোস্টার হাতে অবস্থান করেন বামপন্থী দলের কর্মীরা
সোমবার রাজ্যের দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী, এক বিধায়ক সহ প্রাক্তন তৃণমূল নেতাকে সিবিআইয়ের গ্রেফতারির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল সিপিআইএমএল লিবারেশন। মঙ্গলবার গ্রেফতারির বিরোধিতায় প্রতিবাদ দিবস পালন করলেন দীপঙ্কর ভট্টাচার্যরা।
রাজ্যের একাধিক জায়গায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে করোনাকালে গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাস্তায় পোস্টার হাতে অবস্থান করেন বামপন্থী দলের কর্মীরা। কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি পশ্চিবঙ্গের রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
‘পক্ষপাতদুষ্ট রাজ্যপাল গো ব্যাক’, বাংলার গণরায়ের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক হস্তক্ষেপ বন্ধ কর’, প্রভৃতি স্লোগান লিখে পোস্টার হাতে অবস্থান করেন সিপিআইএমএলের কর্মী সমর্থকরা।
লিবারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি দীপঙ্কর ভট্রাচার্য বিক্ষোভের ছবি পোস্ট করে ফেসবুকে লেখেন, বাংলার গণ রায়কে অগ্রাহ্য করে কেন্দ্রের ষড়যন্ত্রমূলক হস্তক্ষেপ মানছি না। সেই সঙ্গে ধনখড়কে তাঁর তোপ, রাজ্যপালের দলীয় ভূমিকাকে ধিক-ধিক-ধিক্কার।
বিজেপি ছাড়া সোমবারের গ্রেফতারি নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের সবকটি বিরোধী দলের নেতৃত্ব। প্রত্যাশিত ভাবেই বিজেপি রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়েছে।
সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র রাজ্যের মন্ত্রীদের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশ এবং রাজ্যব্যাপী করোনা মহামারির ভয়ংকর আক্রমণের সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা সিবিআই-র এই পদক্ষেপের আমরা তীব্র প্রতিবাদ করছি।
সিপিএম নেতার অভিযোগ, করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা ধামাচাপা দিতে সাধারণ মানুষের নজর অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যই এই সময়টা বেছে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করেছেন। একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, তদন্ত ও গ্রেফতারির সময় এই মহামারীর বাতাবরণকে আমরা অস্বীকার করতে পারি না। কাউকে ধরা হবে কাউকে ছাড়া হবে এটা হতে পারে না।
পর্যবেক্ষকদের মতে, কংগ্রেস নেতা ইঙ্গিত করেছেন শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়ের দিকে।
Comments are closed.