ডেকে এনে বলতে দেওয়া হল না, Republic বাংলাকে আক্রমণ CPM বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যের

প্রথম সপ্তাহেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল রিপাবলিক বাংলা

গত রবিবার মোদীর ব্রিগেডের দিন বাংলায় আত্মপ্রকাশ করে অর্ণব গোস্বামীর রিপাবলিক বাংলা (Republic) নিউজ চ্যানেল। তারপর থেকে নিয়মিত ভাবে খবর সম্প্রচার করছে তাঁরা। কিন্তু প্রথম সপ্তাহেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল রিপাবলিক বাংলা। 

মঙ্গলবার রাত ১০ টা নাগাদ সিপিএমের বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, তাঁকে রাত ৮ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত একটি আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে ডাকা হয়েছিল। গোটা ১ ঘণ্টার শোয়ে একবারও তাঁর কাছে আসেননি সঞ্চালক। ফলে একটি কথাও বলার সুযোগ পাননি সিপিএম বিধায়ক তন্ময়। তন্ময়ের আরও অভিযোগ, অর্ণব গোস্বামীর এই বাংলা চ্যানেল বিতর্ক সঞ্চালনা করে না। অ্যাঙ্কর নিজেই এখানে একটি পক্ষ এবং তিনি ঠিক করবেন কাকে তিনি প্রতিপক্ষ বাছবেন।

 

সম্প্রতি টিআরপি কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে অর্ণব গোস্বামীর। অভিযোগ বিভিন্ন অবৈধ উপায়ে অর্ণব রিপাবলিক টিভির টিআরপি বাড়িয়ে দিতেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিতর্কের মুখে পড়েছে রিপাবলিক টিভি। তৃণমূল একাধিকবার রিপাবলিক টিভির বিরুদ্ধে বিজেপির মুখপত্র হওয়ার অভিযোগ করেছে। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর সঙ্গে অর্ণব গোস্বামীর বাদানুবাদ রীতিমতো চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছিল। লোকসভা ভোটের সময় তৃণমূলের প্রতিনিধি বলে দাবি করে একজনকে নিয়ে অনুষ্ঠান করার অভিযোগ উঠেছিল অর্ণব গোস্বামীর বিরুদ্ধে। তৃণমূল এই ঘটনার প্রতিবাদ করে লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করে। রিপাবলিক টিভিকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেন মহুয়া মৈত্র। এবার সেই রিপাবলিক টিভির বাংলা সংস্করণের বিরুদ্ধে ডেকে এনে চুপ করে বসিয়ে রাখার অভিযোগ করলেন তন্ময় ভট্টাচার্য। 

এখানেই শেষ নয়, তন্ময় ভট্টাচার্যের আরও লিখেছেন, বাঙালি বিতর্ক ভালবাসে। কলহ না। তার অ্যাপ্রোচ যেন বাঙালিকে কলহপ্রিয় না করে তোলে। বোঝাই যাচ্ছে, নির্বাচন পর্যন্ত বিষ সরবরাহ টাই উদ্দেশ্য।

তন্ময় ভট্টাচার্য আরও একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, রিপাবলিক বাংলার তরফে ফোন করে তাঁর কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে টেকনিক্যাল গোলমালের কারণে তাঁকে কথা বলতে দেওয়া যায়নি। তন্ময় বাবু জানিয়েছেন, এই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক যেমন চান না তেমনই এই ঘটনা ভুলে যাওয়াও তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।  

সবমিলিয়ে আত্মপ্রকাশের এক সপ্তাহের মধ্যেই নিজে খবর হয়ে উঠেছে রিপাবলিক বাংলা নিউজ চ্যানেল।

Comments are closed.