মণিপুরে সংখ্যালঘু হয়ে পড়া সরকার বাঁচাতে অসমের মন্ত্রী ও ক্রাইসিস ম্যানেজার হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে ইম্ফল পাঠালেন অমিত শাহ
শুক্রবারই মণিপুর থেকে রাজ্যসভায় একটি আসন নিশ্চিত করেছে বিজেপি। এবার লক্ষ্য সরকার বাঁচানো। এই অবস্থায় অমিত শাহের নির্দেশে ইম্ফল হাজির হলেন উত্তর-পূর্বে বিজেপির ক্রাইসিস ম্যানেজার তথা অসমের বিজেপি সরকারের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সঙ্গে রয়েছেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি বা এনপিপি প্রধান তথা মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা।
রবিবার রাতে ইম্ফলে পৌঁছন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তারপর থেকে দফায় দফায় বৈঠক চলছে বিধায়কদের সঙ্গে। উদ্দেশ্য একটাই, এন বীরেন শাহের সরকার টিকিয়ে রাখা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই সম্ভাবনার আলো দেখা যাচ্ছে না বলেই মনে করছেন দুই দলেরই স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশ।
গত সপ্তাহে এন বীরেন সিংহ সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে এনপিপি। উপ-মুখ্যমন্ত্রী সহ দলের ৪ বিধায়কই ইস্তফা দেন। ৩ বিজেপি বিধায়ক পদত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগ দেন। একমাত্র তৃণমূল বিধায়ক এবং একজন নির্দল প্রার্থীও সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নেন। ফলে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে মণিপুরের বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার।
রবিবার রাতে ইম্ফল পৌঁছনোর পর থেকেই হিমন্ত বিশ্বশর্মা বিজেপি এবং এনপিপির সম্পর্ক মেরামতিতে ব্যস্ত। দফায় দফায় বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। কনরাড সাংমা কথা বলেছেন মণিপুরের দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে। কিন্তু সূত্রের খবর, ম্যারাথন বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি।
কংগ্রেস এই মুহূর্তে কোনও পদক্ষেপ করছে না। ঘটনাপ্রবাহ কোনদিকে মোড় নেয় তা দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে সনিয়া গান্ধীর দল। পরিস্থিতির উপর লক্ষ্য রাখতে ইম্ফলেই রয়েছেন গৌরব গগৈ এবং দিল্লির কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন।
হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং কনরাড সাংমা, এই দুই নেতা মিলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও মণিপুর এনপিপি ইউনিট কিন্তু এখনও ঘোষিতভাবেই কংগ্রেসের সঙ্গে। স্থানীয় নেতৃত্ব জোরকদমে বিজেপিকে আক্রমণ করে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে উভয়সঙ্কটে পড়েছেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী। কংগ্রেস বিরোধিতাই তাঁর দলের ওয়ান পয়েন্ট এজেন্ডা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তাই মণিপুরের পার্টি অন্য লাইন নিয়ে ফেলায় বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন শিলংয়ের কনরাড। দুই রাজ্যে পার্টির দুরকম অভিমুখ কী করে থাকতে পারে, তার জবাব খুঁজে চলেছেন পূর্ণ সাংমার ছেলে। এই পরিস্থিতিতে মণিপুর এনপিপির মুখ্য দাবি, বিজেপি নেতৃত্বে পরিবর্তন নতুন করে প্রাসঙ্গিকতা পাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
Comments are closed.