ইলিশ নিয়ে হাহাকার মৎস্যজীবী মহলের। সমুদ্রে জাল ফেললেও দেখা নেই ‘মাছের রাজার’। কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীরা পরপর তিনবার গভীর সমুদ্রে ট্রলার নিয়ে গিয়েও কার্যত খালি হাতে ফিরে এসেছেন। যার জেরে এ মরশুমে আদৌ তাঁরা আর মাছ ধরতে যাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
ট্রলার মালিকরা ইতিমধ্যেই ঠিক করেছেন এ নিয়ে তাঁরা একটি বৈঠক করবেন নিজেদের মধ্যে। মাছ না ওঠার কারণ নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন আছে, জানালেন এক মৎস্যজীবী।
১৫ জুন মাছের মরশুম শুরু হয়েছে। ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছেন মৎস্যজীবীরা। খারাপ আবহাওয়ার কারণে দু একদিনের মধ্যেই তাঁদের ফিরে আসতে হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল হলে ফের সমুদ্র যাত্রা শুরু করে ট্রলারগুলি। কিন্তু দ্বিতীয়বারেও হতাশ হতে হয়েছে মৎস্যজীবীদের। যেটুকু ইলিশ জালে উঠেছে তাতে লাভের মুখ দেখা সম্ভব নয়।
মৎস্যজীবীরা আশা করেছিলেন, মরা কোটালে স্রোতের দিক পরিবর্তন হলে মাছের মুখ দেখতে পাবেন তাঁরা। কিন্তু দেখা নেই ইলিশের ঝাঁকের। এদিকে জ্বালানির অস্বাভাবিক দাম বাড়ার জেরে বেশিদিন ট্রলার চালানো সম্ভব নয়। সবমিলিয়ে দুইয়ের চাপে কার্যত হতাশ মৎস্যজীবীরা।
ইলিশের আকাল প্রসঙ্গে মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক বিজয় মাইতি জানান, পরিস্থিতি ভয়ানক। কেন এমনটা হচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না। পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করতে হবে।
এক মৎস্যজীবী জানান, ইলিশ ধরার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ নেই। পুবালি হাওয়ার দেখা নেই। জলের স্রোতও বাংলাদেশের দিকে। সব মিলিয়ে ইলিশের জন্য যে বাঙালিকে এবার হা হুতাশ করতে হবে তা একপ্ৰকার স্পষ্ট।
Comments are closed.