করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ভাড়াটে বৃদ্ধা। সেই বাড়ির সামনে থেকে খাবার জলের কল খুলে নিল প্রতিবেশীরা। অমানবিক এই ঘটনা আলিপুরদুয়ারের।
প্রতিবেশীদের এই কাণ্ডের পর রীতিমতো জলকষ্টে ভুগতে শুরু করেছে ওই বাড়িতে থাকা তিনটি পরিবার। আলিপুরদুয়ার নিউটাউন বাজারের কাছে এই অমনাবিক ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান মিহির দত্ত। খাবারের জলের জার ওই বাড়িতে পৌঁছে দেন তিনি। একদিনের মধ্যে টিউবওয়েলের হাতল না লাগানো হলে এলাকাবাসীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মিহির দত্ত।
জানা গেছে, আলিপুরদুয়ারের নিউটাউন বাজারের কাছে ওই বাড়িতে পাঁচজনের বাস। এছাড়াও দুটি পরিবার ভাড়া থাকে। এই দুটি পরিবারের মধ্যে একটি পরিবারে থাকেন ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধা। তিনি পুত্রবধূ ও এগারো মাসের নাতনিকে সঙ্গে নিয়ে থাকেন। বৃদ্ধার ছেলে বাইরের রাজ্যে কাজ করেন। কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন ওই বৃদ্ধা। বুধবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যায় তিনি করোনা সংক্রমিত।
বাড়িতে থাকা বাকিরা করোনা পরীক্ষা করাতে যান বৃহস্পতিবার। বাড়ি ফিরে দেখেন, সামনের টিউব ওয়েলের হাতল ভাঙা।
ঘটনার খবর জানাজানি হতেই স্থানীয় বিজেপি নেতা শুভেন্দু রায় জানান, ওই টিউব ওয়েলের জল পাড়ার অনেকে ব্যবহার করেন। তাই সংক্রমিত বাড়ির লোকেদের কলটি ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছিল। তাঁদের বাড়িতে জল পৌঁছে দেবেন প্রতিবেশীরা বলে জানানো হয়। কিন্তু তবুও ওই কল ব্যবহার করতে থাকেন ওই বাড়ির লোকজন, বলে অভিযোগ এলাকার বিজেপি নেতার।
জেলার এক স্বাস্থ্য কর্তার দাবি, জলের কল থেকে করোনা ছড়ায় না। এটা অমানবিক ঘটনা। কল লাগানো না হলে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে দোষীদের।
করোনায় সরকারী প্রচারে কোভিড সংক্রমিতদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার না করার কথা বলা হচ্ছে বারবার। প্রয়োজনে সংক্রমিতদের বাড়িতে বাজারহাট করে দেওয়ার বার্তাও দিচ্ছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তাও হুঁশ ফিরছে না সাধারণ মানুষের।
Comments are closed.