পরিসংখ্যান বলছে, গত চার বছরে মে মাসে চারটি বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। চারটির মধ্যে আমপান এবং ইয়াস তান্ডব চালিয়েছিল রাজ্যে। রাজ্যবাসীর মনে সেই স্মৃতি এখনও টাটকা। চলতি মাসেও তেমন একটি ঘূর্ণিঝড়ের খবর নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
আবহাওয়ায় দফতরের তরফে জানা গিয়েছে, আগামী কয়েকদিনে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। যদিও হাওয়া অফিসের তরফে এও জানানো হয়েছে, সেই নিম্নচাপ যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবেই এখনও তেমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। তবে আগামী শনিবার দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। এবং আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তা শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। যদিও ঘূর্ণিঝড়ের নাম কি হবে? কোথায় আছড়ে পড়বে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে নানান আলোচনা শুরু হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি সেরে রাখছে নবান্ন। ইতিমধ্যেই উপকূলীয় জেলাগুলির জেলাশাসকদেরকে একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব দফতরের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার আগে রাজ্যের সঙ্গে যাতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়, সে সম্পর্কেও জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ত্রাণ মজুত, উপকূলীয় জেলাগুলোতে আশ্রয় শিবিরগুলির কী ব্যবস্থা তাও খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Comments are closed.