কতটা শক্তি সঞ্চয় করে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় যশ? কী বলছে আবহাওয়া দফতর?
আগামী ২৬ মে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় যশের
বছর ঘুরতেই নতুন বিপদ। বিপুল শক্তি সঞ্চয় করে বাংলার দিকে ধেয়ে আসতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় যশ। কয়েকদিন আগেই ভারতের পশ্চিম উপকূলে তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড় টাওতে। লণ্ডভণ্ড করে দেয় গুজরাত, মহারাষ্ট্রের উপকূল অঞ্চল।
বঙ্গোপসাগরের উপর সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের কথা আগেই জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। কিন্তু ঘূর্ণিবর্তে রূপান্তর এবং ঝড়ের অভিমুখ নিয়ে দ্বিধাগ্রস্থ ছিল আবহাওয়া দফতর।
শুক্রবার আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়, আগামী ২৬ মে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় যশের। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ২৫ মে থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি শুরু হবে।
ঘূর্ণিঝড় যশ কতটা শক্তিশালী হতে চলেছে? এ বিষয়ে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জানিয়েছেন, কতটা শক্তিশালী হবে ঘূর্ণিঝড়, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। কিন্তু পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। তিনি আরও জানান, কত কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়বে যশ, সেবিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ২৩ মে থেকে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘণ্টায় ৪৫-৬৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। যার সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার। ২৩ মের পর থেকে হাওয়ার বেগ আরও বাড়তে থাকবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তাল হতে পারে সমুদ্র। তাই ২৩ মে থেকে সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। এবং যাঁরা মাঝ সমুদ্রে রয়েছেন, তাঁদের ২৩ মে সকালের মধ্যে ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Comments are closed.