সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে জ্বলছে যোগী রাজ্য, ৮ বছরের বালক সহ মৃত ১১, রবিবার লখনউ যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল

জ্বলছে যোগী রাজ্য। সরকারি সূত্রে এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর স্বীকার করা হয়েছে। অভিযোগ, বেশির ভাগেরই মৃত্যু হয়েছে পুলিশের গুলিতে। তবে যদিও উত্তরপ্রদেশের পুলিশের দাবি, আন্দোনলকারীর উপর পুলিশ গুলি চালায়নি। গুলি যদি চলে থাকে, তবে তা এসেছে বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে।

এদিকে শনিবার সকালে ফের দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় পথে নামেন। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের খণ্ডযুদ্ধ হয়।

বিহারে ওই আইনের প্রতিবাদে বনধ ডেকেছে আরজেডি। তাকে ঘিরেও বিহারের বিভিন্ন প্রান্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত। মধ্যপ্রদেশের বহু জেলায় কার্ফু জারি করা হয়েছে। পশ্চিমবাংলায়ও বিক্ষোভ অব্যাহত। শনিবার ফেসবুকে প্রচার চালিয়ে মিছিল ডেকেছেন ছাত্রছাত্রীরা।
এদিকে রবিবার তৃণমূলের চারজনের প্রতিনিধি দল লখনউয়ের ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। ওই দলে রয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদী, প্রতিমা মণ্ডল, মহম্মদ নাদিমূল হক ও আবীর বিশ্বাস। তাঁরা মৃতদের বাড়িতে যাবেন বলে জানিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি।
যোগী রাজ্যে ৭৫ টি জেলার মধ্যে প্রায় কুড়িটি জেলায় কেন্দ্রের নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় প্রবল আন্দোলন শুরু হয়। যা কয়েক জায়গায় হিংসার রূপ নেয়। শুক্রবার বিভিন্ন জেলায় ৯ জন আন্দোলনকারী নিহত হয়েছেন। সব মিলিয়ে যোগী রাজ্যে নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল ও পি সিংহ জানান, শুক্রবারের প্রতিবাদ আন্দোলন হঠাৎই হিংসাত্মক রূপ নেয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুরও চালানো হয়।
শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের বিজনুরে দুই আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়। সম্ভল, ফিরোজাবাদ, মীরাট ও কানপুরে একজন করে নিহতের খবর পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের দাবি, ৫০ জনের বেশি পুলিশ কর্মী আহত ও প্রহৃত হয়েছেন আন্দোলনকারীদের হাতে।
পুলিশ জানিয়েছে, লখনউয়ে মিছিলের প্রথমে ছিল শিশু ও মহিলারা। তাই আন্দোলনকারীদের উপর আক্রমণের কোনও ইচ্ছা ছিল না তাদের। পুলিশের তাঁড়া খেয়ে পালানোর সময় বারাণসীতে এক শিশুর পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি। এদিকে গাজিয়াবাদে চারটি থানায় মোট ৩,৬০০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।

Comments are closed.