ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে দেবাঞ্জন দেব সহ ৪ জনের ২ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। এদিন ভুয়ো আইএএস অফিসার দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারা যুক্ত করার আবেদন করে কলকাতা পুলিশের সিট। আলিপুর আদালত সেই আবেদন মেনে নিয়েছে।
জানা যাচ্ছে, শনিবার লালবাজারে এসে ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়ে অসুস্থ হয়েছেন এমন অভিযোগ করেন তিন ব্যক্তি। শুনানি শেষে দেবাঞ্জন এবং তাঁর তিন সহযোগীকে ২ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারপতি।
প্রতারণায় অভিযুক্ত দেবাঞ্জন করোনার টিকা বলে যে ভ্যাকসিন দিতেন তা আসলে করোনার টিকা নয়। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, করোনার টিকার জায়গায় থাকত একপ্রকার অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন। কিডনির সমস্যার ক্ষেত্রে সাধারণত এটি ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে এটি ব্যবহার করার কিছু পদ্ধতি রয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা।
তদন্তকারীদের দাবি, দেবাঞ্জন দেব জেনে বুঝে মানুষকে বিপদের মধ্যে ফেলেছন। এই ওষুধের প্রয়োগের জেরে শরীরে নানান ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এমনকী প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। যার জেরেই পুলিশ খুনের চেষ্টা বা ৩০৭ ধারা যুক্ত করার আবেদন জানিয়েছিল। তা মঞ্জুর করেছে আদালত।
তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানাতে পারেন, বড় বাজারের বাগরি মার্কেট থেকে ইনজেকশন কেনেন দেবাঞ্জন। বাগরি মার্কেটের ওষুধ ব্যবসায়ীর কাছে নিজেকে কলকাতা পুরসভার যুগ্ম কমিশনার হিসেবে পরিচয় দেন দেবাঞ্জন দেব।
কসবা ও সিটি কলেজের ভুয়ো ক্যাম্পে যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন ইতিমধ্যেই তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে পুরসভা। প্রত্যেকের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, এই কাজের জন্য চার সদস্যের মেডিক্যাল টিম তৈরী করা হয়েছে।
Comments are closed.