রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় বাম ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমোদনের ক্ষেত্রে দিল্লির আপ সরকারকে কোনও নির্দেশ দিতে অস্বীকার করল দিল্লি হাইকোর্ট। বুধবার দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি এন প্যাটেল ও বিচারপতি সি হরিশঙ্করের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, তারা এই ব্যাপারে দিল্লি সরকারকে কোনও নির্দেশিকা দিতে পারে না। এটা আদালতের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। দিল্লি সরকারকেই নীতি, আইন ও প্রথা অনুযায়ী এই বিষয়ে পদক্ষেপ করতে হবে।
দিল্লির সরকারকে ওই ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক নন্দকিশোর গর্গ দিল্লি হাইকোর্টে যে আবেদন করেছিলেন, সেটি খারিজ করে দেয় আদালত। দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বলে, আবেদনকারীর এফআইআর করার পিছনে কোনও ব্যক্তিগত স্বার্থ ছিল। আইনজীবী শশাঙ্ক দেও সুধির মাধ্যমে গর্গ ওই আবেদন করেছিলেন। আবেদনে অভিযোগ করা হয়, কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমোদন দেওয়ার ব্যাপারে দিল্লি সরকারের অত্যন্ত গা ছাড়া মনোভাব ছিল। গত ১৪ জানুয়ারি পুলিশ কানহাইয়া এবং আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। চার্জশিটে নাম ছিল জেএনইউ-এর ছাত্র নেতা উমর খলিদ এবং অনির্বাণ ভট্টাচার্যরও। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এই ছাত্র নেতারা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে একটি মিছিলের নেতৃত্ব দেন। ওই মিছিল থেকে দেশ বিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়।
Comments are closed.