বারাকপুর পরিস্থিতি জানতে ডিজিকে তলব রাজ্যপালের, জানতে চাইলেন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বীরেন্দ্রর বক্তব্য

ভাটপাড়া-জগদ্দলে সংঘর্ষ ও উত্তেজনার পর সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজিকে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধানকার। মঙ্গলবারই রাজভবনে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে তলব করেন রাজ্যপাল। রাজ্যের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা উন্নতির জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং আরও কোন কোন পদক্ষেপ করলে হিংসার ঘটনা রোধ করা যাবে বৈঠকে জানতে চান রাজ্যপাল।
গত রবিবার ভাটপাড়া-জগদ্দলে গণ্ডগোল এবং সেই গণ্ডগোলে বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের আহত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধানকার। অর্জুন সিংহকে দেখতে হাসপাতালেও হাজির হয়েছিলে তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছিলেন, হিংসার পথে নয় উন্নয়নের পথে যেতে হবে রাজ্যকে। পাশাপাশি, ভাটপাড়া-জগদ্দলের ঘটনায় তিনি ব্যথিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধানকার।
অন্যদিকে, রাজ্যপালের মন্তব্যকে নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল শিবির। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের মত, রাজ্যপালের রাজনৈতিক মন্তব্য করা উচিত হয়নি। উল্টোদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, যেভাবে বিরোধীদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে তাতে রাজ্যপালের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রসঙ্গত, সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহকেই একরকম দায়ী করেছিলেন এডিজি আইন-শৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিংহ। স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, পুলিশের লাঠির আঘাতে নয়, অর্জুন সিংহের মাথা ফাটে তাঁর সমর্থকদেরই ছোঁড়া ইটের ঘায়ে। পাশাপাশি, রবিবারের ঘটনার জন্য অর্জুন ও তাঁর বিধায়ক পুত্র পবন সিংহের ভূমিকা নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন এডিজি আইন-শৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিংহ।
অন্যদিকে, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার অভিযোগ করে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। যা নিয়ে প্রবল বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। কার্যকালের মেয়াদ শেষের ঠিক আগে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী অভিযোগ করেছিলেন, মমতার তোষণের রাজনীতির জন্যই বাংলার অবস্থা খারাপ হয়েছে, নষ্ট হয়েছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। সেসময় তাঁর মন্তব্যের বিরোধিতা করে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল রাজ্যের শাসক দল। এবার বর্তমান রাজ্যপালের ডিজিকে তলব এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে তৃণমূল সরকার কী প্রতিক্রিয়া দেয় সেটাই দেখার।

Comments are closed.