পেট্রল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব সাধারণ মানুষের উপর পড়েনি, দাবি পেট্রলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের
গত ২১ দিন ধরে নাগাড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে জ্বালানি তেলের দাম। এই প্রথমবার দিল্লিতে পেট্রলের চেয়ে দাম বেশি হয়েছে ডিজেলের। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে যাওয়া সত্ত্বেও দেশে তেলের দাম লাগাতার বৃদ্ধি পাওয়ায় কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান দাবি করলেন, পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনে কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি।
পেট্রপণ্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, আমজনতার কথা না ভেবে করোনা পরিস্থিতিতে পেট্রল ও ডিজেলের শুল্ক বৃদ্ধি করে রাজস্ব বৃদ্ধি করছে মোদী সরকার। যদিও কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের দাবি, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে আমজনতার সম্পর্ক নেই। তারা কোনওভাবে প্রভাবিত হয়নি। পেট্রলিয়াম মন্ত্রীর কথায়, করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে চাহিদা ও জোগান প্রভাবিত হচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতি সংকটে পড়েছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টিকেও সেভাবে দেখতে হবে। ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, লকডাউনের কারণে এপ্রিল ও মে মাসে পেট্রল ও ডিজেলের চাহিদা ৭০ শতাংশ পড়ে গিয়েছিল। আবার যানবাহন স্বাভাবিক হচ্ছে, তাই জ্বালানি তেলের চাহিদাও স্বাভাবিক হচ্ছে। তাঁর যুক্তি, যখন কোনও পরিবারে অর্থনৈতিক সমস্যা আসে তখন পরিবারের কর্তা ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সমস্যার সমাধান করেন। পেট্রল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টিও সেভাবে দেখা উচিত।
ধর্মেন্দ্র প্রধান দাবি করেন, জ্বালানি তেল থেকে যে শুল্ক উঠে আসছে, সেটা স্বাস্থ্য ক্ষেত্র, কর্মসংস্থান ও দেশের মানুষের আর্থিক নিরাপত্তার কাজে ব্যয় করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ প্রকল্পের আওতায় দরিদ্র ও কৃষকের জন্য ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর খোঁচা, সনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেস দরিদ্র মানুষের জন্য কল্যাণমূলক কাজ হজম করতে পারে না।
Comments are closed.