‘তোমাকে তো মন্ত্রিসভাতেই রাখা হচ্ছিল না, তোমার ব্যাপারে বুদ্ধর এত আপত্তি কেন’? জানতে চাইলেন জ্যোতিবাবু

আগের পর্বেই লিখেছি, ২০০১ সালে আমার শ্রম দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে কমরেড মহম্মদ আমিনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। কিন্তু তিনি কিছু না বলায় আমার উদ্দেশ্য পূরণ হল না। এর কিছুদিনের মধ্যে জয়কৃষ্ণ ঘোষ মারফত সময় নিয়ে আমি সল্টলেকের ইন্দিরা ভবনে জ্যোতিবাবুর সঙ্গে দেখা করতে গেলাম। মাঝে-মাঝেই আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যেতাম। সেদিন যাওয়ার পর জয়কৃষ্ণদা বললেন, ‘জ্যোতিবাবুর শরীরটা ভালো নেই’। আমি বললাম, ‘জরুরি কথা ছিল’। জয়কৃষ্ণদা বললেন, ‘ওনার শরীর ঠিক হলে আমি জানিয়ে দেব। তুমি চলে এসো’। এর মধ্যেই ৮ জুলাই জ্যোতিবাবুর জন্মদিন এসে যায়। অন্যান্য বারের মতো সেবারও আমি এবং আমার স্ত্রী ফুল নিয়ে ওনার বাড়িতে যাই। সেই দিনটায় ইন্দিরা ভবনে সমাজের সব অংশের প্রচুর মানুষের সমাগম হোত। ওনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অল্প কথায় তাঁকে বলি, ‘আপনি সময় দিলে, আমি এসে দেখা করব। কিছু কথা আছে’। উনি বললেন, ‘আজ তো প্রচুর ভিড়, তুমি জয়কৃষ্ণকে বলে যাও। ও টাইম করে তোমায় খবর দেবে’। এর অল্প কিছুদিন পরেই জয়কৃষ্ণদার ফোন পেলাম। নির্দিষ্ট তারিখ আজ আমার স্মরণে নেই। সেদিন বিকালেই মহাকরণ থেকে সোজা জ্যোতিবাবুর বাড়ি চলে যাই।
বসার ঘরে জ্যোতিবাবু এবং জয়কৃষ্ণদা ছিলেন। আমি কিছু বলার আগেই উনি আমাকে বলেন, ‘কী ব্যাপার বলো তো সুশান্ত! তোমাকে মন্ত্রিসভাতেই রাখা হবে না, এরকম সিদ্ধান্ত প্রায় গ্রহণ হতে বসেছিল। আমি পার্টির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকেই এ কথা শুনে বলি, এ কী কথা! যাঁকে নির্বাচনের প্রচারে গোটা রাজ্যে ব্যবহার করা হল, যে পাঁচ বছর ধরে রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করল, তাঁকে মন্ত্রিসভায় না নেওয়া হলে কি রাজ্যের মানুষের কাছে ভালো বার্তা যাবে?’ তারপর তিনি বলেন, ‘আমার আপত্তির কথা শুনে, অনিল (সিপিএমের তৎকালীন রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাস) বলে যে, ”আমি যা বলছি তা ঠিক। রাজ্যের মানুষের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে”। আরও কেউ কেউ আমার কথা সমর্থন করেন।’
জ্যোতিবাবু সেদিন এও জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমার ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর এত আপত্তি কেন, তুমি জানো?’
আমি সবিনয়ে বলি, ‘আমি তো সামান্য জেলা কমিটির সদস্য, আমি কী করে জানব? আর কেই বা আমাকে বলবে? আমি জেলা সম্পাদকমণ্ডলীরও সদস্য নই যে, সেখান থেকে কিছু জানতে পারব। তবে আমার মনে হয়’, একথা বলেই আমি থেমে যাই। উনি বলেন, ‘থামলে কেন, কী বলছিলে বল।’ আমি তখন বলি, ‘আপনি বলতে বলছেন তাই বলছি, কিন্তু বলাটা ঠিক হবে কীনা ভাবছি!’ তখন জয়কৃষ্ণদা বলেন, ‘আরে উনি তো বলতে বলছেন। তোমার এত দ্বিধা কেন?’ তখন আমি বলি, ‘যেদিন মহাকরণের অ্যান্টি চেম্বারে আমাকে ডেকে আলোচনা করেছিলেন এবং আমাদের দু’জনের সব কথা শোনার পর আপনি ওনাকে বলেছিলেন, ”বুদ্ধ you are wrong, sushanta is right”, আমার ধারণা সেদিন আপনার মূল্যায়নে আমাকে সঠিক বলাটা উনি মন থেকে মেনে নিতে পারেননি। এবং আমার প্রতি মানুষের ভালোবাসার যে বহিঃপ্রকাশ, (যে বিষয়ে সুভাষ চক্রবর্তী আর বর্ষীয়ান সাংবাদিক প্রয়াত রমেন দাস আমাকে সাবধান করেছিলেন) এই সব কারণেই হয়তো আমি ওনার অপছন্দের তালিকায়।’ এরপর জয়কৃষ্ণদা সংযোজন করেন। জ্যোতিবাবুকে বলেন, ‘আপনার মনে আছে, মন্ত্রিসভার শপথের দিন যখন সুশান্তের নাম ডাকা হল তখন উপস্থিত জনতার সেই বিপুল উচ্ছ্বাস, হাততালি থামতেই চাইছিল না।’ জ্যোতিবাবু মাথা নেড়ে সায় দিয়ে বলেন, ‘হ্যাঁ ঠিকই।’ আজ জ্যোতিবাবু এবং জয়কৃষ্ণ ঘোষ দু’জনই প্রয়াত হয়েছেন।
এরপর মন্ত্রিসভায় আমার থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও, মেদিনীপুর জেলা থেকে একজনকে ক্যাবিনেট মন্ত্রী করে আমাকে রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবেই রেখে দেওয়া হয়। তার পরবর্তী সময়ে মন্ত্রিসভায় যতদিন থেকেছি, সেখানে নামেই মন্ত্রী হয়ে থাকতে হয়েছে আমায়। এই যে ধারায় মন্ত্রিসভা তৈরি হল, তার মধ্যে দিয়েই মনের মধ্যে অনেক প্রশ্ন উত্থাপিত হয়। সেই অর্থে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সরকারের হয়ে কাজ করার আমার বিশেষ সুযোগ ছিল না। অবশ্য তার জন্য সে সময় মাঠে-ময়দানে রাজনীতির কাজে আমার কোনও অসুবিধা হয়নি।
২০০১ সালের পর ২০০৩ এর পঞ্চায়েত, ২০০৪ এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আবার গোটা রাজ্যের মানুষের কাছে যাওয়ার সুযোগ হয় আমার। বিরোধীরা যেভাবেই ব্যাখ্যা করুক, ২০০৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিচুতলার বাম বিরোধী কর্মীদের ভূমিকা অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। যার মূল কারণ ছিল, ২০০১ এ ক্ষমতা বদল হবেই, এই স্লোগান ব্যর্থ হওয়ার পর বিরোধী কর্মীদের অনেকেই মনে করেছিলেন, পঞ্চায়েতে নতুন কিছু আর হবে না। ফলে অনেক জায়গাতেই বিরোধীরা প্রার্থী দাঁড় করাতে পারেননি। বিশেষ করে সন্ত্রাস কবলিত এলাকায়, যেখানে মানুষ বিরোধীদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল, সেই সব এলাকায় বাম প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয়লাভ করেছিলেন। সেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় বাম প্রার্থীদের জয়লাভের সঙ্গে যাঁরা বর্তমান পঞ্চায়েত নির্বাচনকে এক করে দেখাতে চাইছেন, তাঁরা রাজ্যে বর্তমান নির্বাচনের যে পরিস্থিতি, তাকে গুলিয়ে দেওয়ার জন্যই এই তুলনা টানছেন। ২০০৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য রাজ্য তথা দেশের অন্যতম প্রবীণ কবি শঙ্খ ঘোষকে প্রতিবাদে কলম ধরতে হয়নি। সেদিনও অনেক কবিই ছিলেন, তাঁদের এধরনের প্রতিবাদের ভাষা ব্যবহার করতে হয়নি। কিন্তু ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তির প্রতিবাদে তাঁর এভাবে কলম ধরা, তা আমার মতে এক কথায়, নজিরবিহীন। ২০০৩ সালের নির্বাচনের পর গঠিত পঞ্চায়েত উন্নয়নের ক্ষেত্রে যথার্থ ভূমিকাই পালন করেছিল। ভুল-বিচ্যুতি যে একেবারেই ছিল না, একথা নিশ্চই বলব না। কিন্তু এখনকার মতো ‘লুঠের পঞ্চায়েত’ ছিল না। আজ উন্নয়নের কথা সামনে রেখে ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় যে জয়লাভ, তার সঙ্গে ২০০৩ এর পঞ্চায়েতের তুলনা করা যায় না। যুক্তিবাদী মানুষ দুটোর ফারাক বুঝবেন।
এরপর আসে ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। গোটা দেশের সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী মানুষ, আসমুদ্র হিমাচল একটি স্লোগানেই আবদ্ধ হয়ে যায়। ‘বিজেপি হঠাও, দেশ বাঁচাও’। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরানো একান্তভাবে জরুরি, মানুষ এর পক্ষেই ঐক্যবদ্ধ হন। যে গোপন রিপোর্টের ভিত্তিতে বাজপেয়ী সরকার সেবারের লোকসভা ভোট লড়তে চেয়েছিল, তাঁদের সেই রণকৌশল ব্যর্থ হয়। ২০০১ সালে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর পুনরায় তৃণমূল দল এনডিএ জোটে ফিরে যায়। আর পুরানো রেলমন্ত্রক পাওয়া না গেলেও অন্য দফতরের মন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে হয়। এত দ্রুত শিবির পরিবর্তন, একবার বিজেপির এনডিএ জোটের শরিক, কিছুদিন পর জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট। নির্বাচনে পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গেই আবার জোট পরিবর্তন করে এনডিএতে ফিরে যাওয়া, এসবই ২০০৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস দুই দলকেই বাংলার মানুষের কাছে প্রশ্নচিহ্নের মাঝে দাঁড় করিয়ে দেয়। যার ফলে, ২০০৪ এর লোকসভা নির্বাচনে, বিজেপি রাজ্যে তাদের পুরনো জেতা দুটি সিটের একটিতেও জয়লাভ করতে পারেনি। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা কমে দাঁড়ায় মাত্র একে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, ত্রিপুরাসহ গোটা দেশে বামপন্থীরা ৫৯ টি আসন পায়। এই নির্বাচনে রাজ্যে বামেদের সাফল্য অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। ৪২ টি আসনের মধ্যে বামপন্থীরা ৩৮ টি আসন পায়। দিল্লির সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বামেদের এই আসন সংখ্যা অত্যন্ত ইতিবাচক অবস্থায় এনে দাঁড় করায়।
সরকারে অংশগ্রহণের জন্য বামপন্থীদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানানো হয়। এমনকী উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদ, রেলসহ গুরুত্বপূর্ণ একাধিক দফতর বামেদের দেওয়ার প্রস্তাব আসে। ১৯৯৬ সালের মতো এবার দলের শীর্ষ নেতারা এই নিয়ে গম্ভীর তাত্ত্বিক আলোচনা করেন। সরকারে অংশ নিয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করা ঠিক হবে, নাকি বাইরে থেকে সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করা হবে?
এখানে একটি পুরানো ঘটনা উল্লেখ করতে হয়। জ্যোতি বসুর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রশ্নকে ঘিরে রাজ্য পার্টির সংগঠন ও প্রশাসনের মধ্যে থাকা বরিষ্ঠ নেতৃত্বের মধ্যে সেই পদ গ্রহণ করা নিয়ে ভয়ঙ্কর মতভেদ তৈরি হয়েছিল। তখন একদিন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে রাজ্য দফতরের করিডোরে রাজ্য সরকারের এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও সংগঠনের এক নেতার মধ্যে চরম মতান্তর বাধে। তাঁদের মাঝে দাঁড়িয়ে একজন মধ্যপন্থী নেতা বিতর্ক থামানোর জন্য বলছেন, “এসব কী হচ্ছে? প্রকাশ্যে এভাবে বিতর্ক করা কি আমাদের পার্টিতে শোভনীয়!” সে সময় আমি হঠাৎ আলিমুদ্দিনে উপস্থিত হয়ে গিয়ে প্রত্যক্ষ করি সেই ঘটনা। বলতে দ্বিধা নেই, সেদিন ওই দুই নেতারই রণংদেহী মূর্তি দেখেছিলাম। সেই দুই নেতা আজও আছেন। একজন, যিনি মন্ত্রী ছিলেন, শারীরিক কারণে সব কিছু থেকে অবসর নিয়েছেন। আর একজনের যথেষ্ট বয়স হলেও শারীরিক সক্ষমতার কারণে নেতৃত্বের পদে আছেন। আর যিনি থামানোর চেষ্টা করছিলেন, তিনি অনিল বিশ্বাস। রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতে করতেই ২০০৬ বিধানসভা নির্বাচনের অল্প কিছু আগে প্রয়াত হন। একথা উল্লেখ করলাম এই জন্যই যে, এখন আর সেই দুই নেতার মধ্যে দুই মেরুর অবস্থান নেই। সময়ের ঘটনা প্রবাহে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের প্রশ্নে দুই নেতা আজ একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন।
যাই হোক, বামপন্থীদের মধ্যে সিপিআইএমই সর্বাপেক্ষা বড় দল। তাদের মতামতই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পৃথকভাবে বামপন্থী দলগুলি এবং সিপিআইএমের মধ্যে আলোচনা হয়। সর্বশেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সরকারে অংশগ্রহণ করা হবে না, কমন মিনিমাম প্রোগ্রামের মাধ্যমে সরকারকে সমর্থন করা হবে। কিন্তু লোকসভার স্পিকার পদ গ্রহণ করা হবে। এ যেন কতকটা ‘যেমন বেণি তেমনি রবে, চুল ভেজাব না’ নীতি। মন্ত্রিসভার পদ গ্রহণে অক্ষমতা, অথচ স্পিকারের পদ গ্রহণ! কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ? সরকারে অংশগ্রহণ করলে প্রাপ্ত মন্ত্রকগুলির মাধ্যমে মানুষের জন্য যে কাজের সুযোগ, না লোকসভার স্পিকার পদের প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণ করা, কোনটি জনগণ ও সংগঠনের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা আমার মতো কম বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের চিন্তাধারায় এখনও বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি। এখনও আমি নিজের কাছে নিজেকে প্রশ্ন করি, সোমনাথ চ্যাটার্জির মতো দক্ষ সাংসদ ও রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মানুষকে কোন উদ্দেশ্য পূরণে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল? পার্টির সংগঠনের বিকাশের প্রশ্নে এই বহিষ্কার কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, তা আজও সাধারণ মানুষের অজানা। নিন্দুকেরা অবশ্য বলেন, সোমনাথ চ্যাটার্জির যা যোগ্যতা, দেশজোড়া তাঁর যে পরিচিতি, বাসুদেব আচারিয়ার মতো সাংসদের যা পরিচিতি, তাতে তাঁদের উপ-প্রধানমন্ত্রী বা রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিলে, পার্টির সেই সমস্ত তাত্ত্বিক নেতাদের পরিবর্তে (যাঁরা সরাসরি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন) তাঁরা মানুষের কাছে আরও বেশি করে সামনের সারিতে চলে আসতেন। সেই জন্যই অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সরাসরি ক্ষমতার থেকে সরিয়ে রেখে তাঁদের স্পিকার বা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়।
কিন্তু সরকারকে সামনে রেখে অভিন্ন নূন্যতম কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে প্রথম ইউপিএ সরকার মানুষের জন্য অনেকগুলি ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছিল, একথা অস্বীকার করা কারও পক্ষে সম্ভব নয়। গরিব মানুষের, ক্ষেতমজুরদের কাজের অধিকারের স্বীকৃতি পাওয়া থেকে, বনাঞ্চলের অধিকারসহ অনেকগুলি কর্মসূচির কারণে দেশের মানুষ ২০০৪ সালের প্রথম ইউপিএ সরকারকে মনে রাখবে।

(চলবে)

Leave A Reply

Your email address will not be published.