ভিড়ে ঠাসা রাস্তা থেকে আধো গলায় ভেসে এল ‘দিদি তুমি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠ’। হুইল চেয়ারে বসেই এদিক ওদিক খুঁজছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কচি গলা এলো কোথা থেকে? শেষ পর্যন্ত
মমতার চোখ খুঁজে পেল ছোট্ট সুহানাকে। কাছে টেনে নিয়ে স্নেহের চুম্বনে ভরিয়ে দিলেন। প্রাণভরে আশীর্বাদ করলেন। ঘটনাস্থল দুর্গাপুর। সোমবার বিকেলে পুরুলিয়ায় দুটি জনসভা করে দুর্গাপুরের সার্কাস ময়দানে নামে মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার।
হেলিপ্যাড থেকে নেমে হুইল চেয়ারে হোটেলের দিকে যাচ্ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার জন্য রাস্তার দুপাশে উপচে পড়েছিল ভিড়। সেই ভিড়ের মধ্যে থেকেই শিশুসুলভ কন্ঠ ভেসে আসে ‘দিদি তুমি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠো’। মুহূর্তে থমকে যান মমতা। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজার পর, কাছে টেনে নেন ছোট্ট সুহানাকে। আদর করেন তাকে। সুহানা জানিয়েছে, দিদি নাম, স্কুল, ঠিকানা জানলে চেয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে একবার দেখার জন্য দিদিভক্ত সুহানা বাবার কাছে বায়না ধরেছিল। এরপর দুর্গাপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার রীনা চৌধুরীর সঙ্গে দিদিকে দেখতে আসে সে। কাউন্সিলার রীনা চৌধুরী জানিয়েছেন, ছোট্ট সুহানা মুখ্যমন্ত্রীকে খুব ভালোবাসে। ওর বাবা মহম্মদ সেলিম তৃণমূলের সমর্থক। দিদি আহত হওয়ার পর খুব কষ্ট পেয়েছিল ছোট্ট সোহানা।
[আরও পড়ুন- Mamata: কলকাতায় বসে চক্রান্ত করছেন অমিত শাহ, বলে দিচ্ছেন কাকে গ্রেফতার করতে হবে!]
দুর্গাপুরে সিটি সেন্টারের গান্ধী ময়দানে অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরী হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর নামতেই শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি, হাততালির সঙ্গে ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ স্লোগানে তাঁকে স্বাগত জানান দুর্গাপুরবাসী। সেই ভিড়ের মধ্যেই বাবার হাত ধরে দাঁড়িয়েছিল বছর দশের সুহানা পারভিন। মুখ্যমন্ত্রীর ছোট্ট সুহানাকে আদর করার দৃশ্যে আপ্লুত উপস্থিত মানুষ বলছেন, ভোটের উত্তপ্ত আবহে ছোট্ট সুহানা যেন বসন্তের তাজা বাতাস।
Comments are closed.