‘দিদিকে বলো’ ফেসবুক পেজে ১২ দিনে লাইক প্রায় দেড় লক্ষ, ব্যাপক সাড়া ‘আমার গর্ব মমতা’ ক্যাম্পেনেও

‘দিদিকে বলো’ ক্যাম্পেন শুরুর ২৪ ঘন্টাতেই অভিযোগ, সমস্যার কথা জানিয়ে ৯১৩৭০ ৯১৩৭০ নম্বরে ফোন এসেছিল এক লক্ষ। সেই ফোনের সংখ্যা তো দিন-দিন বাড়ছেই, এই ফেসবুক পেজ এবং ট্যুইটার অ্যাকাউন্টও দ্রুত জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে প্রশান্ত কিশোরের পেশাদার সংস্থার হাতের ছোঁয়ায়।
ফেসবুকে ‘দিদিকে বলো’ ফেসবুক পেজে লাইকের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। মাত্র ১২ দিনের মধ্যে পেজের লাইক এখন প্রায় দেড় লক্ষ। সদ্য শুরু হওয়া ‘আমার গর্ব মমতা’ ফেসবুক পেজেও লাইকের ঝড়। সেখানেও প্রায় এক লক্ষ লাইক ইতিমধ্যেই পড়ে গিয়েছে। এই দুই ফেসবুক পেজে গিয়েও সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে। ফলে মোবাইল ফোনের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যুক্ত হতে পারছেন। শুধুমাত্র ফেসবুকই নয়, ট্যুইটারেও কার্যত ঝড় তুলেছে ‘দিদিকে বলো’ ক্যাম্পেন। ‘দিদিকে বলো’র ট্যুইটার পেজে প্রতিনিয়তই বাড়ছে ফলোয়ারের সংখ্যা। যদিও ‘দিদিকে বলো’ ট্যুইটার পেজ কেবলমাত্র ফলো করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের ট্যুইটার হ্যান্ডেল। আর ‘দিদিকে বলো’র ট্যুইটার হ্যান্ডেল ইতিমধ্যেই ফলো করেছেন প্রায় ৩ হাজার মানুষ। ট্যুইটার হ্যান্ডেল মারফতও কেউ চাইলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছতে পারবেন। জানাতে পারবেন নিজেদের সমস্যা এবং অভিযোগের কথা। যদি কোনও পরামর্শ দেওয়ার থাকে, তাও দেওয়া যাবে বিশেষ এই ট্যুইটার পেজে।
মাত্র ১২ দিনের মধ্যেই এমন অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত তৃণমূল শিবির। মমতার সঙ্গে কথা বলে উপকৃত হয়েছেন, এমন বেশ কয়েকজনের ভিডিও তুলে ধরা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া পেজগুলোতে। পাশাপাশি, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের জনসংযোগের খণ্ড চিত্রও তুলে ধরা হচ্ছে। তৃণমূলের এক অংশের নেতা-কর্মীদের দাবি, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির জনপ্রিয়তা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যে কয়েকদিনের মধ্যেই জনপ্রিয়তায় তা তৃণমূলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজকেও ছাপিয়ে যেতে পারে।
সূত্রে খবর, মাত্র ১২ দিনের মধ্যেই ‘দিদিকে বলো’ ক্যাম্পেনের এমন সাড়া তাঁদের তৃণমূল নেতৃত্বের কাছেও অপ্রত্যাশিত ছিল। পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, জনসংযোগের বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই উদ্যোগী। এটা তাঁর স্বভাবের মধ্যেই পড়ে। নিজের মতো করেই জনসংযোগ করেন তিনি। তাতে মাঝেমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর মতো হাই প্রোফাইল ব্যক্তির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়। কিন্তু মমতা নিরাপত্তারক্ষীদের বারণ না শুনেই বারবার মিশে গিয়েছেন সাধারণ মানুষের বৃত্তে। প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে মমতার এই জনসংযোগে লেগেছে প্রোফেশনাল ছোঁয়া। যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ, মাত্র ১২ দিনে বিশাল সংখ্যক মানুষের সমর্থন। দিনে দিনে তা আরও বাড়বে বলেই আশাবাদী প্রশান্ত কিশোরের টিম।

Comments are closed.