সোমবারই নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে কলকাতা জুড়ে বিশাল মিছিল করে বিজেপি। সেদিনই মোদী সরকারের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্য বিজেপি সহ সভাপতি তথা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পরিবারের সদস্য চন্দ্রকুমার বসু। সোমবার একাধিক ট্যুইটে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য বিজেপির এই শীর্ষ নেতা। সোমবারের মিছিলের প্রথম সারিতে চন্দ্রকুমারকে দেখাও যায়নি।
সোমবার রাত ১২ টা ২৪ মিনিটে একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন যদি কোনও ধর্মের ভিত্তিতে নাই হয়ে থাকে, তবে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পারসিক ও জৈন ধর্মের মানুষের কথা উল্লেখ রয়েছে কেন! কেনই বা মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের বাদ রাখা হয়েছে? আসুন, এই বিষয়টিতে স্বচ্ছ থাকি। নেতাজির প্রপৌত্র আর একটি ট্যুইটে লেখেন, অন্য দেশের সঙ্গে ভারতের তুলনা করবেন না। কারণ, ভারত এমন একটি দেশ যেখানে সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের জন্য উন্মুক্ত পরিবেশ রয়েছে। তিনি এও বলেন, নিজেদের দেশে যদি মুসলিমরা নির্যাতিত না হন, তাঁরা এ দেশে আশ্রয় নেবেন না, তা ঠিক। কিন্তু পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে যে বেলুচরা বাস করছেন, তাঁদের জন্য এই ধারণা সঠিক নয়।
এর আগে আরও একটি ট্যুইটে চন্দ্রকুমার নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের ছবি দিয়ে লেখেন, যে রাজনৈতিক দল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আদর্শ পাথেয় করে সমাজের সব শ্রেণির মানুষের উন্নতির জন্য সচেষ্ট হবে, তারাই ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে জয়ী হবে। বাকি রাজনৈতিক দল অপ্রাসঙ্গিক হয়ে থেকে যাবে।
স্বাভাবিকভাবে বিজেপি নেতার এই মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। সোমবার বিজেপির কার্যনিবাহী সভাপতি জে পি নাড্ডার কলকাতার সভায় মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত মিছিলের জন্য দলকে শুভেচ্ছা জানালেও, নাগরিকত্ব আইনের সুবিধা সম্পর্কে আমজনতাকে সচেতন করতে শীর্ষ নেতৃত্বকে আহ্বান করেন চন্দ্র বসু।
Comments are closed.