দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান হলেন অধিকারী বিরোধী জ্যোতির্ময়
একুশের নির্বাচনে দক্ষিণ কাঁথি কেন্দ্র থেকে তৃণমূল তাঁকে প্রার্থী করে। সারা রাজ্যে তৃণমূল রেকর্ড সংখ্যক আসন পেলেও দক্ষিণ কাঁথিতে জ্যোতির্ময় কর হেরে যান
মেদিনীপুরে আরেক অধিকারী বিরোধীকে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসাল নবান্ন। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান হলেন জ্যোতির্ময় কর।
দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয়েছে তৃণমূল নেতা জ্যোতির্ময় করকে। মেদিনীপুরে তিনি অধিকারী পরিবারের বিরোধী শিবিরের বলে পরিচিত।
একুশের নির্বাচনে দক্ষিণ কাঁথি কেন্দ্র থেকে তৃণমূল তাঁকে প্রার্থী করে। সারা রাজ্যে তৃণমূল রেকর্ড সংখ্যক আসন পেলেও দক্ষিণ কাঁথিতে জ্যোতির্ময় কর হেরে যান। মাঝে কিছু দিন দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন জেলার রাজনীতিতে অধিকারীদের বিরোধী নেতা অখিল গিরি। রামনগর কেন্দ্র থেকে এবার ভোটে দিতে মৎস্য মন্ত্রী হয়েছেন অখিল গিরি।
আর শুক্রবার পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয় জ্যোতির্ময় করের চেয়ারম্যান হওয়ার কথা।
অখিল গিরির আগে এই পদে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী। শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদানের পরেই চেয়ারম্যানের পদ থেকে শিশির অধিকারীকে সরিয়ে দেয় সরকার।
শুভেন্দু বিজেপিতে যাওয়ার পরেই অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বাড়তে থাকে। শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন তাঁর ভাই সৌমেন্দ্যু। শিশির অধিকারী খাতায় কলমে তৃণমূল সাংসদ থাকলেও তিনিও ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। যদিও অধিকারী পরিবারের আরেক সদস্য দিবেন্দ্যু অধিকারী এখনও তৃণমূলের সাংসদ। বহুবার তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা উঠলেও তিনি তৃণমূলে রয়ে গিয়েছেন। যদিও দলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তলানিতে।
তৃণমূল ক্ষমতায় এসে অধিকারীদের বিরোধী বলে পরিচিত কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহাকে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতি মন্ত্রী করেছে। অখিল গিরিকেও স্বাধীন দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতি মন্ত্রী করেছে। আর এদিন আরে অধিকারী বিরোধী নেতাকে জেলার গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে অধিকারীদের চাপে রাখল শাসক দল। এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
Comments are closed.