ফের বেলাগাম দিলীপ ঘোষ। কয়েক দিন আগেই পুলিশকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, এক বছর পর বউ-বাচ্চার মুখ দেখতে দেবেন না। এবার বেনজির ভাষায় মমতা ব্যানার্জি সরকারকে আক্রমণ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। রাজ্যকে ভিখিরি বলে ব্যঙ্গ করলেন তিনি।
বুধবার বোলপুরে ‘চায়ে পে চর্চা’ কর্মসূচিতে একাধিক বিষয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে ফের তীক্ষ্ণ ভাষায় বিঁধলেন রাজ্যকে।
কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে রাজ্যের বিরোধিতা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ”ওরা সব কিছুতেই বিরোধিতা করে। কিন্তু জিএসটি’র টাকাটা চাই। কিছু একটা হলেই টাকা চাই, টাকা চাই, ভিখারির মত করে এরা।”
বোলপুরের বাঁধগোড়ার একটি চায়ের দোকানে ‘চায়ে পে চর্চা’ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই দোকানে গিয়ে দেখেন, সেটি বন্ধ। বাধ্য হয়ে পাশের একটি দোকানে বসে স্থানীয়দের সঙ্গে জনসংযোগ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের যেখানেই তিনি ‘চায়ে পে চর্চা’ করতে যান, সেখানেই চায়ের দোকান ইচ্ছাকৃতভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। হাওড়া, ইকো পার্ক, গলফ ক্লাব থেকে বোলপুর সব জায়গাতেই এমনটা করা হয় বলে রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করেন তিনি। রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি আরও বলেন, ”কেন্দ্রের ট্রেন, বিমান ঢুকতে দেবে না। কিন্তু চাল-ডাল নেবে। কারণ, ওটা লুঠ করতে সুবিধা হয়।”
এদিকে বিজেপি রাজ্য কমিটিতে স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্যের পদ পাওয়া শোভন চ্যাটার্জিকে নিয়েও মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে দিলীপবাবুকে।
কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চ্যাটার্জিকে বিজেপি রাজ্য কমিটির স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য হওয়া নিয়ে দিলীপ ঘোষ জানান, শোভনবাবুর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পার্টি লাভবান হোক। সেই জন্য তাঁকে আহ্বান করা হয়েছে। শোভনবাবু স্বাধীনভাবেই কাজ করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
পাশাপাশি, বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামে সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে আবার রাজ্য সরকারের সম্পূর্ণ লকডাউনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, করোনা নয়, বিজেপিকে আটকানোর জন্যই তৃণমূল সরকার লকডাউন করছে৷ এভাবে লকডাউন করে কোনও লাভ হচ্ছে না। বরং সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে। শাসক দলের এটা ‘অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত’ বলে কটাক্ষ করতে শোনা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে।
কিছুদিন আগেই তৃণমূল সরকার ও রাজ্যের পুলিশকে একযোগে নজিরবিহীন ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয় রাজনৈতিক মহলে। মুখ্যমন্ত্রী খোদ এর প্রতিক্রিয়া দেন। এবার রাজ্য সরকারকে ‘ভিখারি’ বলে ব্যঙ্গ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
Comments are closed.