সমস্ত জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ফের দ্বিতীয়বারের জন্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হলেন দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল লাইব্রেরির সভাকক্ষে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দিলীপ ঘোষের নাম রাজ্য সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেন। দলের নেতা-কর্মীরা করতালি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। দিলীপ বলেন, আপনারা যে আমাকে ফের সভাপতি নির্বাচিত করলেন, এর জন্য সকলকে ধন্যবাদ। তিনি ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে দলের নেতা-কর্মী নির্বিশেষে সকলকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে বলেন। পরে তিনি জানান, দায়িত্ব আরও বাড়ল।
দিলীপ বরাবরই বিতর্কিত কথা বলার জন্য ‘বিখ্যাত’। এর জন্য তাঁকে বিরোধীদের তোপের মুখেও পড়তে হয় বিভিন্ন সময়ে। গত রবিবার নদিয়ার রানাঘাটে দলের এক সভায় তিনি বলেন, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করার জন্য উত্তরপ্রদেশ, অসমে পুলিশ যেমন বিক্ষোভকারীদের কুকুরের মতো গুলি করে মেরেছে, রাজ্যের ক্ষমতায় এলে আমরাও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসকারীদের গুলি করে মারব। তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তৃণমূল, সিপিএম কার্যত একযোগে বিভিন্ন জেলায় তাঁর বিরুদ্ধে অসংখ্য এফআইআর করে। দলের অন্দরেও তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় তাঁকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে কটাক্ষ করেন। তিনি দিলীপের বক্তব্যের নিন্দায় ট্যুইটও করেন। বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য বাবুলের ট্যুইট রিট্যুইট করেন। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও দিলীপকে সংযত হওয়ার বার্তা দেন। তার পরেও দিলীপ জানিয়ে দেন, তিনি তাঁর বক্তব্যে অনড়। এসবের প্রেক্ষিতে নানা জল্পনা হচ্ছিল, দিলীপকে আর হয়তো রাজ্য সভাপতি করা হবে না। কেউ বলছিল, তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করে দিল্লিতে ব্যস্ত রাখা হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, সেসবের কিছুই হল না। তাঁকেই আবারও রাজ্য সভাপতি হিসেবে বেছে নেওয়া হল। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে দিলীপের পয়েন্ট এখনও অনেক উপরের দিকে।
Comments are closed.