বিজেপির রাজ্য নেতাদের মঙ্গলবার রাতেই দিল্লিতে তলব করলেন অমিত শাহ। কী নিয়ে আলোচনা হবে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
বিজেপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে দলের একাংশ যেভাবে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপির ভোট প্রচারে কেন্দ্রীয় নেতাদের জনসভায় ভিড় না হওয়ার বিষয় নিয়েও আলোচনা হতে পারে বৈঠকে।
রবিবার বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর সোমবার রাতভর বৈঠক করেন অমিত শাহ। মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন বিজেপি নেতা প্রতাপ ব্যানার্জি। বিজেপির প্রার্থী বদলের দাবিতে সোমবারের পর মঙ্গলবারও হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির একাংশ। ক্যানিং পশ্চিম, কুলপি, মগরাহাট, মন্দিরবাজার-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
সোমবার বিকেলেই হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে প্রার্থীতালিকা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি নেতা মুকুল রায়, শিবপ্রকাশ, অর্জুন সিং, সব্যসাচী দত্ত। কলকাতা ছাড়া জেলাগুলিতেও বিক্ষোভ শুরু হয়।
সেই বিক্ষোভ এখনও চলছে। বলা ভাল তা আরও ছড়াচ্ছে। এবার এই ইস্যুতেই দিল্লির নেতারা রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন কিনা স্পষ্ট নয়। কারণ শাহ-নাড্ডার সভায় ফাঁকা মাঠ নিয়েও কেন্দ্রীয় নেতাদের তোপের মুখে পড়তে পারেন দিলীপ-মুকুল-কৈলাসরা। সূত্রের খবর, সোমবার রাতের মিটিংয়েও একই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য নেতৃত্বকে দিল্লিতে তলব নয়া সম্ভাবনা উস্কে দিচ্ছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, প্রার্থী নিয়ে গোলমাল ঠেকাতে বিজেপি বরাবর একটি নির্দিষ্ট নীতি নিয়ে চলেছে। সেই নীতি বাংলায় প্রয়োগ করলে দিলীপ-মুকুল সহ তাবড় রাজ্য নেতাদের ভোটের ময়দানে লড়তে নামতে হয় কিনা সেটাই এখন দেখার।
Comments are closed.