দম বন্ধ হয়ে আসছে। দলে থেকে কাজ করতে পারছি না। অন্তরাত্মার ডাক শুনে এই সিদ্ধান্ত। রাজ্যসভা থেকে তৃণমূল সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদী। আর ইস্তফার পরেই রাজনৈতিক মহল সরগরম হয়ে উঠেছে। সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার পর দীনেশ জানিয়েছেন, করোনা মোকাবিলায় মোদী দারুণ কাজ করেছেন। এরপরেই দীনেশের বিজেপিতে যোগদান ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে।
শুধু দীনেশ নন, সততার সঙ্গে কাজ করতে চাইলে তৃণমূলে থাকা সম্ভব নয়। তিনি যদি বিজেপিতে আসতে চান, স্বাগত। জানিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ভালো মানুষ, খারাপ দলে ছিলেন। বিজেপিতে স্বাগত, জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তৃণমূল নেতাদের একাংশ অবশ্য দীনেশের ইস্তফার সিদ্ধান্তের মধ্যে ডিল দেখছেন।
[আরও পড়ুন- দুর্নীতি-বাণে বিদ্ধ রাজীব, বন সহায়কের পর এবার নদী বাঁধ সংস্কার নিয়ে অভিযোগ]
রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের খোঁচা, ওঁর যখন দমবন্ধ হয়ে আসছিল, তখন দল ছেড়ে ভালই করেছেন। নইলে আবার অসুস্থ হয়ে পড়তে পারতেন। বিধায়ক তথা তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তাপস রায়ের মতে, অন্তরাত্মা নয় প্রেতাত্মার ডাকেই দল ছাড়লেন দীনেশ ত্রিবেদী। সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জির অভিযোগ, দীনেশ ত্রিবেদী থাকলেন না গেলেন, তাতে কিছুই আসে যায় না।
দীনেশের অন্তরাত্মার ডাককে কটাক্ষ করেছে সিপিএমও। পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, এই অন্তরাত্মা গুজরাতের বাসিন্দা নাকি? তাঁর মতে গোটা রাজ্যই দমবন্ধ অবস্থায় আছে, এতদিন পর দীনেশ বাবুর সেটা মনে পড়ল! রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। এরপরেও তৃণমূলেই ছিলেন। এতদিন তৃণমূলের কাঁধে ভর করেছিলেন এবার বিজেপির কাঁধে ভর করবেন। কটাক্ষ অধীর চৌধুরীর গলাতেও। সব মিলিয়ে দীনেশ ত্রিবেদীর নাটকীয় ইস্তফা ঘিরে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি।
Comments are closed.