করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে পথে নামল বামেরা। তার মধ্যে কারও ভোটে মিটেছে আবার কারও ভোটের এখনও বাকি। বালির সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর ও যাদবপুরের সুজন চক্রবর্তীকে দেখা গেল এলাকায় স্যানিটাইজেশনের কাজে ব্যস্ত থাকতে।
সোমবার সকালে বালি-বেলুড় এলাকায় দীপ্সিতার উদ্যোগে স্যানিটাইজেশনের কাজ করে বামেরা। কর্মী সমর্থকদের নিয়ে দীপ্সিতা ঝাঁপিয়ে পড়েন এলাকা স্যানিটাইজট করতে। সেই সঙ্গে মানুষকে সচেতন করতে চলে প্রচারও।
হাওড়ায় সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এই অবস্থায় রাজ্যে আরও ২ হাজার শয্যার সেফ হোম হচ্ছে বলে সোমবারই জানিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এই পরিস্থিতিতে এবার রাজ্যবাসীকে করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত করতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বালির সিপিএম প্রার্থী।
এই ছবি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন দীপ্সিতা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে লাল ঝাণ্ডা হাতে কিছু মানুষ এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে স্যানিটাইজট করছেন।
করোনার জেরে আগামী দফাগুলিতে আর কোনও বড় সভা করা হবে না বলে আগে জানিয়ে দিয়েছে বামেরা। সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম জানিয়েছিলেন, বাকি তিন দফার ভোট প্রচারে কোনও ভিড় বা জমায়েত করা হবে না। এছাড়া প্রচারে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ের দিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। ভার্চুয়াল প্রচারের দিকে জোর দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। এরমধ্যে প্রার্থীরা নিজেরা সাধারণ মানুষকে করোনা নিয়ে সচেতন করতে পথে নেমে পড়লেন। যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীকেও দেখা যায় যাদবপুরের রিজেন্ট এস্টেট এলাকায় স্যানিটাইজেশনের কাজ করতে।
নিজেদের কেন্দ্রে ভোট মিটে গেলেও অন্য বিধানসভা কেন্দ্রে গিয়ে প্রচার করছেন দীপ্সিতা ধর, সৃজন ভট্টাচার্য, মীনাক্ষী মুখার্জিরা। আবার আলিমুদ্দিন স্টিট সূত্রের খবর, বাকি তিন দফা ভোটের আগে দূরদর্শন এবং আকাশবাণীর মাধ্যমে প্রচার করবেন তাঁরা। এর মধ্যে ১৮ এপ্রিল অর্থাৎ রবিবার সন্ধ্যায় আকাশবাণীতে মীনাক্ষীর গলা শোনা গিয়েছে। ওইদিনই আকাশবানীতে বক্তব্য রাখেন সৃজন ভট্টাচার্য। দূরদর্শনে বিকেলে সম্প্রচারিত হয় দীপ্সিতা ধরের বক্তব্য। সন্ধ্যায় সম্প্রচারিত হয় মীনাক্ষীর বক্তব্য।
প্রসঙ্গত, গত বছর লকডাউনের সময় শ্রমজীবী ক্যান্টিন করে বহু মানুষের মুখে খাবার তুলে দিয়েছিল বামেরা। সেই ক্যান্টিন চলছে এখনও। এবার পথে নেমে করোনা সচেতনতা বৃদ্ধি করতে নেমে পড়লেন তরুণ বাম নেতারা।
Comments are closed.