১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে গেল রাজ্য সরকারের প্রকল্প দুয়ারে সরকার। মোট চার দফায় এই কর্মসূচিতে রাজ্যে ২০ হাজার ক্যাম্প করছে প্রশাসন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনবেন প্রশাসনের কর্মীরা। সঙ্গে কেউ কোনও সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হলে তাঁকে সেই প্রকল্পের আওতায় আনার প্রক্রিয়াও শুরু করবেন তাঁরা। মূল উদ্দেশ্য, সরকারি সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে ওয়াকিবহাল করা।
নবান্ন সূত্রে খবর, মোট ১১টি প্রকল্পকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেবেন সরকারি কর্মীরা। প্রকল্পগুলি হল,
খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের খাদ্যসাথী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের স্বাস্থ্যসাথী
অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের জাতিগত শংসাপত্র ও শিক্ষাশ্রী
আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের জয় জোহার
অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের তফসিলি বন্ধু
নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজ কল্যাণ দফতরের কন্যাশ্রী, রূপশ্রী
সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের ঐক্যশ্রী
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের একশো দিনের কাজ ছাড়া রয়েছে কৃষি দফতরের কৃষক বন্ধু এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের মিউটেশন প্রকল্প।
তবে কেউ যদি সরকারি অন্য কোনও প্রকল্পের জন্য ক্যাম্পে আসেন, তাঁকেও হতাশ হতে হবে না। যে কোনও সমস্যা সমাধান করা হবে ক্যাম্পে বসেই।
প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত বা পুর এলাকায় চার দফায় ক্যাম্প করবে প্রশাসন। ১ থেকে ১১ ডিসেম্বর, ১৫ থেকে ২৪ ডিসেম্বর, ২ থেকে ১২ জানুয়ারি এবং ১৮ থেকে ৩০ জানুয়ারি, এই চার রাউন্ডে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা পাবেন সাধারণ মানুষ। তার জন্য স্কুল, কলেজ, কমিউনিটি হল-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে ২ মাস ধরে আয়োজিত হবে ক্যাম্প।
সূত্রের খবর, প্রথম রাউন্ডে কেউ এসওপি নিয়ে গেলে দ্বিতীয় রাউন্ডেই সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কার্ড পেয়ে যাবেন। আবার দ্বিতীয় রাউন্ডে এসওপি দিলে তৃতীয় রাউন্ডেই হাতে পাবেন কার্ড। জাতিগত শংসাপত্র প্রদান, জয় জোহর এবং তফশিলি বন্ধু প্রকল্প, খাদ্যসাথী, শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্পের সুবিধা আরও সুনির্দিষ্টভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই দুয়ারে সরকার প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
এছাড়া সরকারের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে জানানো যাবে ড্রপ বক্সে।
Comments are closed.