আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী রাজ্যে এখনই বৃষ্টি থামছে না। বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত নিম্নচাপ শক্তি বাড়াচ্ছে। এর মধ্যেই প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ডে লাগাতার বৃষ্টি চিন্তা বাড়াচ্ছে নবান্নের। পড়শি রাজ্যে এভাবে বৃষ্টি বাড়তে থাকলে এরাজ্যে মূলত সাতটি জেলায় বন্যার পরস্থিতি তৈরি হতে পারে। পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া এবং হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে বন্যা পরস্থিতি নিয়ে সোমবার জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
এদিন এই সাত জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারদের নিয়ে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাত জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের একগুচ্ছ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। বলা হয়েছে, অপেক্ষাকৃত নীচু, বন্যা প্রবণ এলাকাগুলোতে এখন থেকে লাগাতার মাইকে প্রচার চালাতে হবে। চিহ্নিত এলাকার মানুষদের নিরাপদ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেচ দফতরের কর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। এবং কোথাও বাঁধ ভাঙার মতো ঘটনা ঘটছে এমন জায়গাগুলোয় কড়া নজর রাখতে হবে। দ্রুত বাঁধ মেরামতির কাজ করতে হবে। বাঁধের ভাঙন ঠেকাতে প্রচুর বালির বস্তা সহ অন্যান্য সামগ্রীও মজুত রাখতে হবে। সব মিলিয়ে পুজোর মুখে সাত জেলায় বন্যা পরস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নবান্ন।
Comments are closed.