দুই বন্ধুর লড়াইয়ে শেষ হাসি উবেদের, টাইব্রেকারে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় ইস্টবেঙ্গলের

ডুরান্ড কাপ সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিল ইস্টবেঙ্গল। বুধবার প্রথম সেমিফাইনালে গোকুলাম কেরালা এফসির কাছে টাইব্রেকারে হারল ইস্টবেঙ্গল। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল ছিল ১-১। ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে গোল করেছিলেন সামাদ আলি মল্লিক। ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে গোল শোধ দেন মার্কাস। লাল কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের মেহতাব সিংহ। অতিরিক্ত সময়েও খেলা অমীমাংসিত থাকায়, ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে তিনটি শট নষ্ট করে ইস্টবেঙ্গল। পোস্টে লাগে ডিকার শট। গোকুলামের গোলরক্ষক উবেদ হাইমে এবং নাওরেমের পেনাল্টি বাঁচিয়ে ম্যাচের নায়ক। গোটা ম্যাচে দুরন্ত খেলে, ট্রাইবেকারে একটি পেনাল্টি বাঁচিয়েও ট্রাজিক নায়ক হয়ে গেলেন ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক মিরশাদ মিচু। মিরশাদ এবং উবেদ অভিন্নহৃদয় বন্ধু। প্রায় একই সময়ে দুজন ইস্টবেঙ্গলে এসেছিলেন। থাকতেন একই সঙ্গে। ম্যাচ শেষের পর এক বন্ধু মাতলেন উৎসবে। আরেক বন্ধু ভেঙে পড়েলেন হতাশায়।
ম্যাচ হেরেও দলের পাশে দাঁড়াচ্ছেন ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ আলেজান্দ্রো। তিনি বলছেন, ‘আমরা ভালোই ফুটবল খেলছিলাম। গোল করে এগিয়ে গিয়েছিলাম। পেনাল্টিটাই সব কিছু বদলে দিল। পেনাল্টি নিয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই। তবে একই সঙ্গে পেনাল্টি এবং লাল কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে ফিফার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। সেগুলো‌ মানা দরকার। আমি আমার দলের সব ফুটবলারদের অভিনন্দন জানাতে চাই। ৩৩ মিনিট ১০ জনে খেলেও দল গোল খায়নি।’
ইস্টবেঙ্গলে থেকে তেমন সুযোগ পাননি উবেদ। সেই প্রতিশোধই কি নিলেন এদিন? উবেদ বিনয়ী। বলছেন, ‘ইস্টবেঙ্গল আমাকে সব কিছু দিয়েছ। প্রতিশোধের কোন বিষয় নেই।’

Comments are closed.