কোলাডোর জোড়ায় জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল, কালিঘাটকে ৪-২ গোলে হারাল লাল-হলুদ ব্রিগেড

কলকাতা লিগে জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। কালিঘাট এম এস’কে ৪-২ গোলে হারাল লাল-হলুদ। জোড়া গোল করলেন কোলাডো। একটি গোল বিদ্যাসাগর সিংহের। অন্য গোলটি আত্মঘাতী।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টি। লাল-হলুদ গ্যালারিতে অন্যদিনের তুলনায় এদিন উপস্থিত ছিলেন কম সংখ্যক দর্শক। অন্যদিকে কর্দমাক্ত মাঠ বেশ সমস্যায় ফেলছিল খেলোয়াড়দের। প্রথম তিরিশ মিনিট গোলশূন্য ম্যাচ চলার পরে ৩৭ মিনিটের মাথায় পরিবর্ত খেলোয়াড় হিসেবে নেমে প্রথম টাচেই কালিঘাটের হয়ে গোল তুলে নেন তুহিন শিকদার। প্রায় কিছুই করার ছিল না গোলকিপারের। তবে বেশিক্ষণ পিছিয়ে থাকতে হয়নি ইস্টবেঙ্গলকে। ৪১ মিনিটের মাথায় হুয়ান মেরার কর্ণারে রোহল পুঁইয়ার প্রয়াস প্রাথমিকভাবে বাধাপ্রাপ্ত হলেও, দ্বিতীয় টাচে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান বিদ্যাসাগর সিংহ।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮ মিনিটে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ডানদিক থেকে ভেসে আসে পিন্টু মাহাতের ক্রস। তুহিন দাসের ভুলে লাসিনের গায়ে লেগে আত্মঘাতী গোলে ২-১ এ এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে আবারও হুয়ান মেরার চিপ। পিছনে খেলে দেন বিদ্যাসাগর এবং নির্ভুল নিশানায় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন হাইমে সান্তোস কোলাডো। এক মিনিট পরেই ইস্টবেঙ্গলের আশির আখতারের সাথে ট্যাকেলের সময় তাঁর মাথায় বুট দিয়ে আঘাত করেন অ্যালেক্স। সামনেই ছিলেন রেফারি। বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে লাল কার্ড দেখানো হয় কালিঘাটের এই খেলোয়াড়কে। ফলে বাকি ম্যাচটি ১০ জন নিয়ে খেলতে গিয়ে আরও সমস্যায় পড়ে কালিঘাট। ম্যাচের ৮১ মিনিটের মাথায় কালিঘাটের হয়ে গোল করেন রাহুল। যদিও এই গোলটি অফসাইড থেকে হয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে ম্যাচের ফলাফল দাঁড়ায় ৩-২। ৮২ মিনিটে বোরখা পেরেজের বাড়ানো পাস থেকে অনবদ্য ভঙ্গিতে ফের জালে বল জড়িয়ে দেন কোলাডো। শেষ পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধানে ম্যাচ জেতে লাল-হলুদ ব্রিগেড। এই জয়ের সাথে সাথেই ৭ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করে লিগ টেবিলে মোহনবাগানকে টপকে পিয়ারলেস ও ভবানীপুরকে ছুঁয়ে ফেলল আলেজান্দ্রো মেনেন্দেজের দল। আজকের ম্যাচে জোড়া গোল করে সেরা হয়েছেন হাইমে সান্তোস কোলাডো। তবে আলাদাভাবে প্রশংসার দাবিদার হুয়ান মেরা। নিঃসন্দেহে মরশুমের বাকি ম্যাচগুলোয় তাঁর দিকে বিশেষ নজর থাকবে সমর্থকদের।

Comments are closed.