২০১৯ সালে গণতন্ত্র সূচকে ১০ ধাপ নেমে গেল ভারত। গত অগাস্ট মাসে জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিশেষ মর্যাদা লোপ, ইন্টারনেট শাটডাউন, সেনা মোতায়েন, অসমে এনআরসি নিয়ে বিক্ষোভ ও অশান্তি সহ বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করে ইকনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বা ইআইইউ (Economist Intelligence Unit) রিপোর্টে ভারতকে গণতন্ত্র সূচকে দেওয়া হয়েছে ৬.৯০ পয়েন্ট। যা ২০১৮ সালে ছিল ৭.২৩। সেই সঙ্গে গণতন্ত্র সূচকে একধাক্কায় ৫১ নম্বর স্থানে নেমে এসেছে ভারত। দেশে নাগরিক স্বাধীনতা খর্ব হওয়াই এর কারণ বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।
বিশ্বের ১৬৫ টি স্বাধীন দেশ এবং দুটি অঞ্চলে গণতন্ত্রের অবস্থান তুলে ধরে এই সূচক নির্ধারণ করে ইকনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (Economist Intelligence Unit)। নির্বাচন প্রক্রিয়া, সরকারি কাজ ও সিদ্ধান্ত, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ ও স্বাধীনতা, রাজনীতিমনস্কতা, নাগরিক স্বাধীনতা- এই মাপকাঠিগুলিতে বিচার হয় সূচক।
সামগ্রিক নম্বর অনুযায়ী মোট চার ভাগে ভাগ করা হয় দেশগুলিকে। আটের উপর নম্বর পেলে তাকে ‘পূর্ণ গণতন্ত্র’ হিসেবে গণ্য করা হয়। ছয় থেকে আটের মধ্যে নম্বর থাকলে সেটি ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র’। ছয়ের চেয়ে কম এবং চারের চেয়ে বেশি নম্বর পেলে সেটিকে ‘গণতন্ত্র’ এবং চারের নীচে নম্বর পেলে সেই দেশকে একনায়কতন্ত্র হিসেবে দেখা হয়।
ভারত রয়েছে দ্বিতীয় তালিকায়। অর্থাৎ, এখানকার গণতন্ত্র ত্রুটিপূর্ণ। এর কারণ হিসেবে উপত্যকা থেকে বিশেষ মর্যাদা সরিয়ে নেওয়ার পরে ইন্টারনেট শাটডাউন, সেনা মোতায়েন, এনআরসি নিয়ে অসমে বিক্ষোভ ইত্যাদির কথা লেখা রয়েছে ইআইইউ- র রিপোর্টে।
১৬৫ টি স্বাধীন রাষ্ট্রের মধ্যে ২০১৯ এর গণতন্ত্র সূচকে চিনের পয়েন্ট ২.২৬। অর্থাৎ, তা একনায়কতন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির মধ্যে পাকিস্তানের প্রাপ্ত পয়েন্ট ৪.২৫। তারা রয়েছে ১০৮ নম্বর স্থানে। শ্রীলঙ্কা স্থান পেয়েছে ৬৯ তম জায়গায়। তাদের প্রাপ্ত পয়েন্ট ৬.২৭। বাংলাদেশের প্রাপ্ত পয়েন্ট ৫.৮৮, রয়েছে ৮০ তম স্থানে।
গণতন্ত্রের সূচকে শীর্ষ স্থানে রয়েছে নরওয়ে। দ্বিতীয় স্থানে আইসল্যান্ড এবং তৃতীয় সুইডেন। আমেরিকা রয়েছে ২৫ তম স্থানে। ব্রিটেন ১৪ নম্বরে। তালিকার একেবারে শেষে রয়েছে উত্তর কোরিয়া।
Comments are closed.