সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেটে টিউশনি পোড়ানো যাবে না, কেন্দ্রীয় স্তরে এই নিয়ে একটি নির্দেশ রয়েছে। তা সত্ত্বেও অনেক শিক্ষক শিক্ষিকাই বাড়িতে পড়ান বা কোনও কোচিং সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। বেতনের পাশপাশি টিউশনি পড়িয়েও অনেকে মোটা টাকা রোজগার করেন বলে অভিযোগ। সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের এই প্রবণতা আটকাতে এবার কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য শিক্ষা দফতর। নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, রাজ্য অধীনস্থ কোনও সরকারি স্কুলের শিক্ষক হলে আর গৃহশিক্ষকতা করা যাবে না।
শিক্ষা দফতরের তরফে নির্দেশিকা জারি করে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনে থাকা কোনও স্কুলের শিক্ষক হলে তিনি আর গৃহশিক্ষকতা করতে পারবেন না। এমনকি কোনও কোচিং সেন্টারের সঙ্গেও যুক্ত থাকতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, বিনা পরিশ্রমেও কোনও শিক্ষক প্রাইভেট টিউশনি করাতে পারবেন না। কোনও শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্কুল শিক্ষা দফতরের পাশাপাশি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকদের মারফতও স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
‘রাইট অফ চিলড্রেন টু ফ্রি অ্যান্ড কমপালসারি এডুকেশন অ্যাক্ট, ২০০৯’ এর ২৮ ধারা অনুযায়ী এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য সরকারি স্কুল শিক্ষকদের বাড়িতে পোড়ানোর রমরমা নিয়ে বেশ কয়েকবার শিক্ষা দফতরে অভিযোগ জমা পড়েছে বলে খবর। এই নিয়ে এর আগেও শিক্ষকদের সতর্ক করা হলেও তাতে কাজ হয়নি বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। যার জেরে ফের একবার নির্দেশিকা জারি করে কড়া অবস্থানের পথে হাঁটল স্কুল শিক্ষা দফতর।
Comments are closed.