বছরের শেষলগ্নে নতুন নজির গড়লেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। চলতি বছরে নাটকের জন্য সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পাচ্ছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর লেখা ‘মীরজাফর ও অন্যান্য নাটক’র জন্য পুরস্কার পাচ্ছেন তিনি।
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ব্রতী বসু। মন্ত্রিত্ব সামলানোর পাশাপাশি মঞ্চ থেকে সেলুলয়েড সব ক্ষেত্রেই অবাধ বিচরণ তাঁর। নাটক রচনা, পরিচালনা, সিনেমা পরিচালনা, অভিনয় সব ক্ষেত্রেই নিজের প্রতিভার ছাপ রেখেছেন। তারই স্বীকৃতি স্বরূপ এবার সাহিত্য অ্যাকাডেমি পাচ্ছেন ব্রাত্য। প্রসঙ্গত, এবছর বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন, কবি রণজিৎ দাস, প্রাবন্ধিক তপোধীর ভট্টাচার্য এবং লেখক ত্রিদিব চ্যাটার্জি। সারা দেশে মোট ২০টি ভাষায় এই পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। বাংলা থেকে এবারে পুরস্কার পাচ্ছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী।
১৯৯৬ সালে অশালীন নাটকের মধ্যে দিয়ে বাংলা নাট্যজগতে পা রাখেন ব্রাত্য। তারপর একে একে ‘উইঙ্কেল টুইঙ্কেল’, ‘রুদ্ধসংগীত’, ‘চতুষ্কন’, ‘কৃষ্ণগহ্বর’, ‘বিকেলে ভোরের সরষে ফুল’-এর মতো একাধিক নাটক তাঁকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যায়।
প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তনী ব্রাত্য বসু সিটি কলেজে বাংলার অধ্যাপক হিসেবে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। অধ্যাপনার পাশাপাশি গণকৃষ্টি নামে এক নাটকের দলে সাউন্ড অপারেটর হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। পরে নাটক লেখা ও পরিচালনার কাজে হাত দেন। ২০১১ সালে বিধানসভা ভোটে দমদম কেন্দ্রে থেকে জয়ী হয়ে সক্রিয় রাজনীতিতেও পা রাখেন ব্রাত্য বসু।
Comments are closed.