নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সংসদে হইচইয়ের মধ্যে নতুন অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় তারা সবচেয়ে বেশি সক্রিয় বলে দাবি করে যে বিজেপি, তাদের বিরুদ্ধেই উঠল সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া অভিযুক্ত সংস্থা থেকে আর্থিক অনুদান নেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। ২২ নভেম্বর ইংরেজি নিউজ পোর্টাল The Wire-এ প্রকাশিত এই বিস্ফোরক প্রতিবেদন নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ট্যুইটারে শুরু হয়েছে #পাকিস্তান ফান্ডস বিজেপি ‘ট্রেন্ড’।
মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটের সময় এনসিপি নেতা প্রফুল প্যাটেলের বিরুদ্ধে আন্ডার ওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগী ইকবাল মির্চির সঙ্গে সম্পত্তি কেনাবেচা ও অর্থ পাচারের মতো অভিযোগে তদন্ত শুরু করে ইডি। খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ নিয়ে কটাক্ষ করেন মনমোহন সিংহের আমলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। প্রায় সেই একই ধরনের অভিযোগ ব্যুমেরাং হয়ে ফিরল বিজেপির বিরুদ্ধে। ‘টেরর ফান্ডিং’ সহায়তার ব্যাপারে ইডির নজরে থাকা আর কে ডব্লিউ ডেভেলপারস থেকে বিপুল অঙ্কের অনুদান নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশনের কাছে তাদের প্রাপ্ত অনুদান নিয়ে যে তথ্য দিয়েছে বিজেপি, সেটাই এই অভিযোগের উৎস। ওই সংস্থার বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের অন্ধকার জগতের কারবারি ইকবাল মেনন ওরফে ইকবাল মির্চির আর্থিক লেনাদেনার অভিযোগ রয়েছে।
আবার, ২০১৪-১৫ সালে আর কে ডব্লিউ ডেভেলপারসের সহযোগী দেয়ান হাউসিং ফিনান্স লিমিটেডের কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা অনুদান পায় বিজেপি।
The Wire এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইলেক্টোরাল ট্রাস্টের মাধ্যমে যত কর্পোরেট হাউস থেকে অনুদান নিয়েছে বিজেপি, এদের মধ্যে সর্বোচ্চ অনুদান দিয়ে এসেছে এই আর কে ডব্লিউ ডেভেলপারস লিমিটেড। এই সংস্থার প্রাক্তন ডিরেক্টর রঞ্জিত বিন্দ্রাকে আন্ডার ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপনের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে ইডি। বিন্দ্রাকে দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগী ইকবাল মির্চি ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার এজেন্ট হিসেবে অভিযুক্ত করেছে ইডি। আর কে ডব্লিউ ডেভেলপারসের ডিরেক্টর জ্যাকব নারুনহা দর্শন ডেভেলপারস প্রাইভেট লিমিটেড নামে আর একটি সংস্থারও ডিরেক্টর পদে আছেন। সেই সংস্থা ২০১৬-১৭ সালে বিজেপিকে সাড়ে সাত কোটি টাকা আর্থিক অনুদান দেয় বিজেপিকে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই নারুনহাও ইডির নজরে রয়েছেন। এখানেই শেষ নয়। মৃত ইকবাল মির্চির সম্পত্তি কেনার অভিযোগে সানব্লিঙ্ক রিয়েল এস্টেট নামে এক সংস্থাকে অভিযুক্ত করে ইডি, এই সংস্থাই অন্য একটি সংস্থার মাধ্যমে বিজেপিকে ২ কোটি টাকা আর্থিক অনুদান দেয়। সেটাও ২০১৪-১৫ সাল। সানব্লিঙ্ককে ২ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার অভিযোগে গত মাসেই ডিএইচএফএলের ১৪ টি অফিসে হানা দিয়েছিল ইডি।
সব মিলিয়ে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে যখন বিজেপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা, সে সময়ে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক সহায়তা করা সংস্থার সঙ্গে বিজেপির যোগসূত্রের অভিযোগ যে অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদীদের অস্বস্তি বাড়াবে, তাতে সন্দেহ নেই।
মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটের সময় এনসিপি নেতা প্রফুল প্যাটেলের বিরুদ্ধে আন্ডার ওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগী ইকবাল মির্চির সঙ্গে সম্পত্তি কেনাবেচা ও অর্থ পাচারের মতো অভিযোগে তদন্ত শুরু করে ইডি। খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ নিয়ে কটাক্ষ করেন মনমোহন সিংহের আমলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। প্রায় সেই একই ধরনের অভিযোগ ব্যুমেরাং হয়ে ফিরল বিজেপির বিরুদ্ধে। ‘টেরর ফান্ডিং’ সহায়তার ব্যাপারে ইডির নজরে থাকা আর কে ডব্লিউ ডেভেলপারস থেকে বিপুল অঙ্কের অনুদান নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশনের কাছে তাদের প্রাপ্ত অনুদান নিয়ে যে তথ্য দিয়েছে বিজেপি, সেটাই এই অভিযোগের উৎস। ওই সংস্থার বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের অন্ধকার জগতের কারবারি ইকবাল মেনন ওরফে ইকবাল মির্চির আর্থিক লেনাদেনার অভিযোগ রয়েছে।
আবার, ২০১৪-১৫ সালে আর কে ডব্লিউ ডেভেলপারসের সহযোগী দেয়ান হাউসিং ফিনান্স লিমিটেডের কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা অনুদান পায় বিজেপি।
The Wire এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইলেক্টোরাল ট্রাস্টের মাধ্যমে যত কর্পোরেট হাউস থেকে অনুদান নিয়েছে বিজেপি, এদের মধ্যে সর্বোচ্চ অনুদান দিয়ে এসেছে এই আর কে ডব্লিউ ডেভেলপারস লিমিটেড। এই সংস্থার প্রাক্তন ডিরেক্টর রঞ্জিত বিন্দ্রাকে আন্ডার ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপনের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে ইডি। বিন্দ্রাকে দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগী ইকবাল মির্চি ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার এজেন্ট হিসেবে অভিযুক্ত করেছে ইডি। আর কে ডব্লিউ ডেভেলপারসের ডিরেক্টর জ্যাকব নারুনহা দর্শন ডেভেলপারস প্রাইভেট লিমিটেড নামে আর একটি সংস্থারও ডিরেক্টর পদে আছেন। সেই সংস্থা ২০১৬-১৭ সালে বিজেপিকে সাড়ে সাত কোটি টাকা আর্থিক অনুদান দেয় বিজেপিকে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই নারুনহাও ইডির নজরে রয়েছেন। এখানেই শেষ নয়। মৃত ইকবাল মির্চির সম্পত্তি কেনার অভিযোগে সানব্লিঙ্ক রিয়েল এস্টেট নামে এক সংস্থাকে অভিযুক্ত করে ইডি, এই সংস্থাই অন্য একটি সংস্থার মাধ্যমে বিজেপিকে ২ কোটি টাকা আর্থিক অনুদান দেয়। সেটাও ২০১৪-১৫ সাল। সানব্লিঙ্ককে ২ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার অভিযোগে গত মাসেই ডিএইচএফএলের ১৪ টি অফিসে হানা দিয়েছিল ইডি।
সব মিলিয়ে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে যখন বিজেপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা, সে সময়ে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক সহায়তা করা সংস্থার সঙ্গে বিজেপির যোগসূত্রের অভিযোগ যে অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদীদের অস্বস্তি বাড়াবে, তাতে সন্দেহ নেই।
Comments are closed.