বাংলার বিজেপি নেতাদের মোদী: কোনও ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়, ইতিবাচক প্রচার করুন
ভোট বাজারে নেতাদের মুখে ব্যক্তিগত আক্রমণ এখন পরিচিত একটি দৃশ্য
ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে বিরত থেকে ইতিবাচক প্রচারের প্রতি জোর দিন, প্রার্থী তালিকা নিয়ে দিল্লির বৈঠকে রাজ্য বিজেপির নেতাদের এমনটাই পরামর্শ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী, খবর বিজেপি সূত্র।
বাংলায় একুশের নির্বাচনে প্রথম দু’দফার প্রার্থী তালিকা নিয়ে দিল্লিতে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রথমে কেন্দ্রীয় নেতা শিব প্রকাশের বাড়িতে, পরে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাড়িতে দিলীপ, মুকুল, শুভেন্দু, রাজীবরা বৈঠকে বসেন। ৬০ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে দু’দফার বৈঠকের পর সন্ধ্যায় বিজেপির সংসদীয় কমিটির সঙ্গে বৈঠক বসেন রাজ্য বিজেপির নেতৃত্ব। দীন দয়াল উপাধ্যায় মার্গে বিজেপির সদর দফতরে বসে বৈঠক। ওই বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলার নেতাদের এই কথা বলেন বলে, খবর।
[আরও পড়ুন- মদন মিত্র: মৃত্যুবরণ করব, কিন্তু মমতার সঙ্গে বেইমানি করব না]
মার্চের তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে বাড়ছে একুশের মহাযুদ্ধের তাপমাত্রা। নেতাদের গরম গরম মন্তব্যে কার্যত স্বরগরম বাংলার রাজনীতি। প্রচারে গিয়ে প্রতিপক্ষকে আকছার ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন নেতারা। বিজেপিতে যোগ দিয়েই মেদিনীপুরের মাটি থেকে শুভেন্দু অভিষেককে তীব্র আক্রমণ করে বলেছিলেন, তোলাবাজ ভাইপো হঠাও। তৃণমূলের আরেক হেভিওয়েট রাজীব ব্যানার্জি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময় বলেছিলেন, ব্যক্তিগত কাদা ছোঁড়াছুড়ির রাজনীতিতে তিনি বিশ্বাসী নন। শুরুতে একথা বললেও তাঁকেও একাধিক জনসভা থেকে পুরোনো দলকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা যাচ্ছে।
এদিকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁর একাধিক বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য নানান সময়ে চর্চায় উঠে এসেছেন। ভোট বাজারে নেতাদের মুখে ব্যক্তিগত আক্রমণ এখন পরিচিত একটি দৃশ্য। এই প্রবণতা রোধ করতে বাংলার বিজেপির নেতৃত্বকে প্রধানমন্ত্রীর এমন বার্তা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
Comments are closed.