এবার বারাসত স্টেশনেও বসছে চলন্ত সিঁড়ি। এমনই আবেদন করেছেন বারাসতের চিকিৎসক সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার। যাত্রী স্বাছন্দের কথা মাথায় রেখে এই আবেদন করা হয়েছে। সাংসদের কথায় উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর বারাসত। এই স্টেশন দিয়ে নিত্যদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। তাঁদের কথা ভেবেই এই স্টেশনে দুটি চলন্ত সিঁড়ির করার আবেদন করেছি। রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে।
শুধুমাত্র চলন্ত সিঁড়ি নয়, ভগ্ন অবস্থায় পড়ে থাকা রেলগেটগুলিও সংস্কার করা হবে বলে জানা গিয়েছে। শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার এই বারাসত স্টেশন থেকে নিত্যদিন প্রচুর লোক যাতায়াত করেন। ফলে এই স্টেশনে সবসময় যাত্রীদের চাপ থাকে। তাই চলন্ত সিঁড়ি বসানোর আবেদন করেছেন তৃণমূল সাংসদ। দমদমের পর শিয়ালদহ-বনগাঁ লাইনের এই স্টেশনেই চলন্ত সিঁড়ি বসানোর আবেদন করা হয়েছে। বুধবার শিয়ালদহ ও হাওড়ার ডিভিশনাল ম্যানেজার ও রেলের একাধিক আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়াদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার। সেই বৈঠকে এই প্রস্তাব দেন সাংসদ বলে জানা গিয়েছে। এই খবর পাওয়া মাত্র খুশি হয়েছেন বারাসতের নিত্য যাত্রীরা। সাংসদের এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন তাঁরা। তাঁদের মতে সিঁড়িগুলির অবস্থা ভগ্ন হয়ে গিয়েছিল। ভারী জিনিস নিয়ে চলাফেরা করতে ভয় লাগত। সাংসদ সত্যি সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা বুঝতে পেরেছেন। বারাসতের রেলগেটগুলি সারাইয়ের দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আবেদন করেছিলেন বাসিন্দারা। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছেন সাংসদ। খুশি নিত্যযাত্রীরা।
বারাসত স্টেশনের এক আধিকারিকের কথায়, বারাসত থেকে বনগাঁ এবং বসিরহাটের দুটি লাইন ভাগ হয়ে যায়। তাই এই স্টেশনে ভিড় লেগেই থাকে। চলন্ত সিঁড়ি হলে সুবিধা হবে যাত্রীদের।
Comments are closed.